ফেসবুক একটি ‘সঙ্ক্রামক ব্যাধির’ নাম!

facebook logo.... 4343ফেসবুকে বিভিন্ন আবেগময় স্ট্যাটাসের সাথে ব্যবহারকারীদের নিজ নিজ মানসিক অবস্থার সম্পর্ক পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রায় ৭ লাখ ইউজারের নিউজফিড বদলে দিয়েছিল কোম্পানিটি। বাছাইকৃত ৬৮৯,০০৩ জন ইংরেজি ভার্সন ফেসবুক সদস্যের ওপর এই পরীক্ষা চালিয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কটি। এসময় ফেসবুক উক্ত ইউজারদের মোট দুটি গ্রুপে ভাগ করে এক গ্রুপে সব ইতিবাচক আবেগপূর্ণ পোস্ট দেখিয়েছে এবং অন্য গ্রুপের সদস্যদের নেতিবাচক পোস্ট সরবরাহ করা হয়েছে। এরপর এই পোস্টগুলো দেখে উভয় গ্রুপের ফেসবুকারদের নিজেদের ফেসবুক পোস্টিংয়ের মধ্যে কী পরিবর্তন এসেছে সেটাই ছিল গবেষণার বিষয়।

ফেসবুক জানাচ্ছে, এই পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, সাইটটির নির্দিষ্ট ঐ ব্যবহারকারী গ্রুপ দুটোর সদস্যদের উপর ইতিবাচক ও নেতিবাচক আবেগময় পোস্টগুলোর ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।

যাদের নিউজফিডে বেশি ‘পজিটিভ ইমোশনাল’ পোস্ট দেয়া হয়েছিল, সেসব ফেসবুকারদের নিজেদের ফেসবুক অ্যাক্টিভিটিও তুলনামূলক বেশি পজিটিভ ইমোশনাল হয়েছিল। অপরদিকে যারা ‘নেগেটিভ ইমোশনাল’ পোস্ট দেখেছে, তাদের ফেসবুক অ্যাক্টিভিটিও নেগেটিভ ইমোশনাল ধাঁচের হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, বাস্তব জীবনে আমরা যেমনটি দেখি, একজন বন্ধুর কোনও ভাল খবর পেলে সবাই আনন্দিত হই, অপরদিকে বন্ধুদের হতাশাজনক পরিস্থিতিতে আমরাও সমব্যাথী হই। ফেসবুক তার গবেষণায় এটাই পরীক্ষা করেছে।

যাইহোক, ফেসবুকের এই গবেষণা প্রযুক্তি বিশ্বে সমালোচিত হয়েছে। কেননা, এর জন্য বাছাইকৃত ৭ লক্ষের মত মানুষ কেউই জানত না যে তাদের ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি এভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। একদল সদস্যদেরকে কিছুদিন শুধুমাত্র সুখবরই দেখানো হয়েছে, আবার অপর দলকে ঐ একই সময় ধরে শুধু হতাশাজনক পোস্ট দেখানো হয়েছে। কিন্তু আগে থেকে না জানিয়ে ব্যবহারকারীদের সাথে এই আচরণ করা ফেসবুকের ঠিক হয়নি বলে মনে করেন অনেকেই। আপনার কী মনে হয়? ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের আবেগ প্রভাবিত করা কি ফেসবুকের ঠিক হয়েছে?

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *