আপনি যদি একজন অ্যাপ ডেভলপার হন, তাহলে একাধিক উপায়ে গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করতে পারেন। বর্তমানে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স ও লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলোর কল্যাণে। এই পোস্টে জানবেন অ্যাপ তৈরি করে গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে।
মনিটাইজেশন
গুগল প্লে স্টোর থেকে আয়ের অন্যতম কার্যকরী ও পরীক্ষিত মাধ্যম হলো অ্যাড দ্বারা অ্যাপ মনিটাইজেশন। মূলত অ্যাপের মধ্যে অ্যাড দেখিয়ে আয় করাকে অ্যাড মনিটাইজেশন বলা হচ্ছে। পপ-আপ, ব্যানার সহ অনেক ধরনের অ্যাড ফরম্যাট আছে যার মাধ্যমে অ্যাপ থেকে আয় করা সম্ভব। অধিকাংশ “ফ্রি টু ডাউনলোড” অ্যাপ এড বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্লে স্টোর থেকে আয় করে থাকে।
বিভিন্ন উপায়ে অ্যাপে এড দেখানো যেতে পারে। প্রথমত অ্যাপের মধ্যে ব্যানার এড দেখানো যেতে পারে যা ব্যবহারকারীর অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় কোনো ধরনের সমস্যা করেনা। আবার চাইলে এড এর বিনিময়ে অ্যাপের কোনো ফিচার অফার করতে পারেন, এতে ব্যবহারকারীগণ নিজের ইচ্ছায় এড দেখতে চাইবে।
অর্থাৎ অ্যাপে এড দেখিয়ে একাধিক উপায়ে আয় করা যেতে পারে। তবে আয়ের লক্ষ্যে অতিরিক্ত এড দ্বারা অ্যাপ ভরিয়ে দিলে ব্যবহারকারী অ্যাপ ব্যবহারে অনিচ্ছা প্রকাশ করতে পারে, তাই খুব সাবধানতার সহিত অ্যাপে এড প্রদান করা উচিত।
অ্যাপে এড দেখানোর জন্য অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গুগল এডমব। গুগল এর সার্ভিস হওয়ায় অ্যাপটি দ্বারা এড দেখানোতে কোনো ধরনের জটিলতা নেই প্লে স্টোরের অ্যাপগুলোতে। যেকেউ একটি এডমব একাউন্টের জন্য আবেদন করে নিজের অ্যাপ মনিটাইজ করার লক্ষ্যে কাজ করতে পারে।
[★★] মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন
👉 বাংলাটেক ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন, দারুণ ভিডিও দেখুন
পেমেন্ট
প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ কেনা বা Buy করা বর্তমানে বেশ সাধারণ একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আপনার অ্যাপ নিয়ে যদি আপনি যথেষ্ট কনফিডেন্ট হন, তাহলে আপনার অ্যাপটিকে একটি পেইড অ্যাপ হিসেবে প্লে স্টোরে পাবলিশ করতে পারেন। তবে এইক্ষেত্রে আয়ের পথ এড মনিটাইজেশন এর মত সহজ নয়। আপনার অ্যাপ বা গেম যদি অসাধারণ না হয়, তাহলে অ্যাপ কেউ কিনতে চাইবেনা।
এছাড়া In-app Purchase যুক্ত করেও ফ্রি অ্যাপ থেকেই আয় করা যেতে পারে। অধিকাংশ অ্যাপ ডেভলপার এই পদ্ধতিতে আয়ের পথকে অধিক স্মার্ট বলে দাবি করে থাকেন। অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা যথেষ্ট হলে অ্যাপ এর ফিচার বা গেম এর আইটেম সেল করা যেতে পারে, যা অ্যাপ বিক্রির ওয়ান-টাইম রেভিনিউ থেকেও অনেক বেশি হতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে পাবজি মোবাইল গেমটার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায়, কিন্তু অ্যাপটিতে থাকা In-app Purchase এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৭বিলিয়ন ডলারের অধিক আয় করেছে গেমটি। অর্থাৎ আপনার অ্যাপ বা গেম যদি যথেষ্ট কাজের বা মজার হয়, তবে অ্যাপ থেকে বিভিন্ন ফিচার বা আইটেম টাকা দিয়ে কিনতেও কেউ দ্বিধা করবেনা।
সাবস্ক্রিপশন
অ্যাপ থেকে আয়ের ক্ষেত্রে সাবস্ক্রিপশন কিছুটা জটিল ধরনের একটি মাধ্যম। সাবস্ক্রিপশন বলতে মূলত মাসিক বা বার্ষিক নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে অ্যাপের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের সিস্টেমকে বুঝানো হয়েছে। নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই, ট্রুকলার ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রিপশন রেভিনিউ মডেল এর মাধ্যমে বিশাল অংকের আয় করে থাকে।
তবে মনে রাখবেন এখানে ইউজারগণ ফিচারের বিনিময়ে নিয়মিত অর্থ প্রদান করবে, তাই প্রদত্ত ফিচারসমূহ যথেষ্ট কাজের না হলে সাবস্ক্রিপশন সেল না ও হতে পারে। বিশেষ করে গেমের ক্ষেত্রে বর্তমানে সাবস্ক্রিপশন আয়ের জন্য একটি সাধারণ উপায়ে পরিণত হয়েছে।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

স্পন্সরশিপ
স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমেও অ্যাপ থেকে আয় করা যেতে পারে। আপনার অ্যাপের আইডিয়া যদি ইনোভেটিভ হয়, তবে অ্যাপে স্পন্সরশিপ পেতে তেমন কোনো সমস্যাই হবেনা। প্রচুর কোম্পানি ভালো সম্ভাবনাময় অ্যাপগুলোতে নিয়মিত স্পন্সরশিপ করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে অ্যাপ থেকে আয় করতে আপনার অ্যাপের আইডিয়া অসাধারণ হওয়া জরুরি।
স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে অ্যাপ থেকে আয় নিয়ে চিন্তা বাদ দিয়ে অ্যাপের উন্নতি করার কথা ভাবা যায়। তাই আপনার অ্যাপ এর আইডিয়া যথেষ্ট ইউনিক বা ইনোভেটিভ হলে স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, সে সম্পর্কে হয়ত ইতিমধ্যে বাংলাটেক এর সকল পাঠকের ধারণা রয়েছে। অ্যাপ থেকে আয়ের একটি অসাধারণ উপায় হতে পারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অন্য অ্যাপ, সার্ভিস বা প্রোডাক্ট প্রোমোট করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্লে স্টোর থেকে আয় করা যেতে পারে।
অ্যামাজন থেকে শুরু করে দারাজ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ প্রদান করছে। সঠিকভাবে আপনার অ্যাপ দ্বারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে একটি অসাধারণ গুগল প্লে স্টোর থেকে আয় করার উপায় হতে পারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।
Hm ki bave bolen
পোস্টটি পড়লেই জানতে পারবেন। ধন্যবাদ!
Hm ki vabe bolen