যদিও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের শেষ ভার্সন হওয়ার কথা ছিল উইন্ডোজ ১০, কিন্তু সময়ের সাথে অনেক কিছুই বদলে যায়। মাইক্রোসফট এবং কোম্পানিটির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে খোঁজ রাখলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই এর মানে উপলব্ধি করতে পারছেন। তো, গত ২৪ জুন উইন্ডোজ ১১ প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট।
নতুন নতুন ফিচার নিয়ে এলেও সেই সাথে এসেছে নতুন সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট। অর্থাৎ, এখন আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে উইন্ডোজ ১১ আপনার কম্পিউটারে চলবে কি না।
আপনার পিসি উইন্ডোজ ১১ এর জন্য প্রস্তুত কি না তা জানার জন্যই এই পোস্ট। এটা পরীক্ষা করার জন্য মাইক্রোসফটের ছোট্ট একটি টুল রয়েছে যার মাধ্যমে সহজেই এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক উইন্ডোজ ১১ এর ব্যাসিক সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট। এক্ষেত্রে কমপক্ষে চার গিগাবাইট র্যাম, ৬৪ গিগাবাইট সিস্টেম ড্রাইভ স্টোরেজ (সহজভাবে বললে সি ড্রাইভ), এবং ১ গিগাহার্টজ বা তার বেশি দুই বা ততোধিক কোর বিশিষ্ট ৬৪ বিট প্রসেসর দরকার হবে। এছাড়া টিপিএম ২ সিস্টেম ফার্মওয়্যারও দরকার হবে। তবে আপনার এত কিছু নিয়ে ভাবতে হবেনা, পোস্টটি পড়তে থাকুন।
আপনার পিসি যদি গত তিন বা চার বছরের মধ্যে কিনে থাকেন, তাহলে আশা করা যায় এতে উইন্ডোজ ১১ চলবে। তবে এটা নিশ্চিত হতে হলে ছোট্ট একটি টেস্ট করে নিতে পারেন।
বোনাসঃ উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ফিচারসমুহ জেনে নিন
এজন্য মাইক্রোসফট রিলিজ করেছে নতুন ছোট্ট একটি সফটওয়্যার যার নাম উইন্ডোজ পিসি হেলথ চেক। এখান থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। এজন্য একটি উইন্ডোজ ১০ চালিত পিসি থেকে লিংকটি ভিজিট করতে হবে।
উপরের লিংক থেকে পিসি হেলথ চেক অ্যাপ ডাউনলোড করা হলে সেটি আপনার উইন্ডোজ পিসিতে ইনস্টল করুন। ইনস্টল করার শেষ পর্যায়ে স্ক্রিনে দুটি অপশন আসবে। সেগুলোর মধ্য থেকে “ওপেন উইন্ডোজ পিসি হেলথ চেক” এ টিক দিয়ে “ফিনিশ” বাটনে চাপ দিন।
এরপর অ্যাপটি আপনার পিসিতে চালু হবে। নিচের স্ক্রিনশটের মত একটি উইন্ডো দেখতে পাবেন।
সেখানে শুরুতেই Check Now বাটন থাকবে। উইন্ডোজ ১১ এর একটি ব্যানারও দেখা যাবে। চেক নাউ বাটনে ক্লিক করুন। আপনার পিসি যদি উইন্ডোজ ১১ চলার জন্য প্রস্তুত থাকে তাহলে এটি আপনাকে তখন তা জানিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে নিচের স্ক্রিনশটের মত কিছু একটা দেখতে পাবেন।
আর যদি আপনার পিসি উইন্ডোজ ১১ চলার জন্য উপযোগী না হয়ে থাকে তাহলে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে।
এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কারণও বলে দেওয়া হবে যে কেন আপনার পিসিটি উইন্ডোজ ১১ চালাতে পারবেনা।
আরো জানুনঃ উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করার নিয়ম (নতুন ও পুরাতন পিসিতে)
আরো জানুনঃ উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১ এর মধ্যে পার্থক্য
উইন্ডোজ ১১ একটি ফ্রি আপগ্রেড হবে। আপনার যদি ইতোমধ্যে জেনুইন উইন্ডোজ ১০ থেকে থাকে তাহলে উইন্ডোজ ১১ মুক্তি পেলে আপনি (সাপোর্টেড পিসিতে) উইন্ডোজ ১১ আপডেট ফ্রি’তে ব্যবহার করতে পারবেন। উইন্ডোজ ১১ এর চূড়ান্ত সংস্করণ মুক্তি পাবে এই বছরের শেষ দিকে।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।
Onek Vallo Laglo thanks