আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস পরিবর্তন বা আপগ্রেড করছেন? সেক্ষেত্রে পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে থাকা ডাটা নতুন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কপি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। এই পোস্টে এক এন্ড্রয়েড ফোন থেকে অন্য এন্ড্রয়েড ফোনে ডাটা ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। উল্লেখ্য যে এই টিউটোরিয়ালটি বুঝার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে। কিছু ব্র্যান্ডেড ডিভাইস ভেদে কিছু অপশন একই রকম না ও থাকতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে থাকা বিল্ট-ইন Sync ফাংশনালিটির কারণে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ডাটা ট্রান্সফার করা বেশ সহজ। এই ফিচারের সুবিধা নিয়ে অনেক ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
এই পোস্টে আমরা গুগল এর বিল্ট-ইন মাইগ্রেশন ফিচার ব্যবহার করে এক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে অন্য অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ডাটা ট্রান্সফার করা শিখবো। প্রায় সকল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এই ফিচারটি একইভাবে কাজ করে, তাই প্রতিটি ব্র্যান্ডের ডিভাইসের জন্য আলাদা উপায় অনুসরণ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রথমে যা করতে হবেঃ
- আপনার পুরাতন ফোনে ইতিমধ্যে গুগলের Contacts অ্যাপটি না থাকলে সেটি ইন্সটল করে ফোন নাম্বারগুলো গুগল একাউন্টের সাথে Sync করুন। এর মাধ্যমে আপনার সকল ফোন নাম্বার আপনার গুগল একাউন্টের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে ও একাউন্টে সাইন ইন করে যেকোনো সময় যেকোনো ডিভাইস হতে নাম্বারগুলো অ্যাকসেস করা যাবে।
- গুগল ফটোস ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও ব্যাকাপ নিয়ে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ড্রাইভ স্টোরেজ বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় ছবি বা ভিডিও ব্যাকাপ নিয়ে রাখতে পারেন।
- গুগল ওয়ান অ্যাপ এর মাধ্যমে আপমার ডিভাইসের সকল ডাটা ব্যাকাপ নিতে পারবেন। অ্যাপে প্রবেশ করে ডিভাইস সিলেক্ট করে Manage Backup সিলেক্ট করে প্রদর্শিত অপশন থেকে ব্যাকাপ তৈরী করতে পারবেন।
অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফিচার, যেমনঃ ক্যালেন্ডার, কনটাক্ট, ইত্যাদি অটোমেটিক Sync হয়ে যায় গুগল একাউন্টের কল্যাণে। এছাড়া ড্রাইভে থাকা সকল ফাইল তো ক্লাইডে থাকছেই। আবার আপনি যদি গান শুনতে কোনো স্ট্রিমিং সার্ভিস ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে উক্ত সার্ভিসের অ্যাপ নতুন ফোনে ডাউনলোড করলে একই গানগুলো ফিরে পেতে পারেন।
👉 অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পিড বাড়ানোর কার্যকরী উপায়
উল্লেখিত ধাপসমূহ ক্লাউডের মাধ্যমে ব্যাকাপ নিতে কাজে আসবে। আপনি যদি ক্যাবলের মাধ্যমে পুরোনো ডিভাইস হতে নতুন ডিভাইসে সুইচ করতে চান, সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি আপনার জন্য বেশ সহজ হবে।
পুরোনো ফোন নিয়ে তো অনেক গবেষণা করা হলো। এবার আসা যাক নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কাছে। ফোন প্রথমবারের মত চালু করুন। ইতিমধ্যে ডিভাইস চালু থাকলে ও কোনো ধরনের অ্যান্ড্রয়েড সেটাপ স্ক্রিন দেখতে না পেলে সেক্ষেত্রে নতুন ফোনটি রিসেট করে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারবেন। মনে রাখবেন, ফোন রিসেট করলে ফোনে থাকা ডাটা সব মুছে যায়। তাই ফোন রিসেট করার আগে ফোনে দরকারি কোনো ডাটা থাকলে অন্য কোথাও (যেমন পিসি বা গুগল ড্রাইভ) ব্যাকআপ রাখবেন।
চলুন শুরু করা যাক।
নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন সেটাপ করার সময় প্রথমে আপনাকে ভাষা সিলেক্ট করতে বলা হবে। এরপর আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে কানেক্ট করতে হবে। ওয়াই-ফাই এ কানেক্ট করুন।
ওয়াই-ফাই তে যুক্ত হওয়ার পর অ্যাপ ও ডাটা কপি করার স্ক্রিন দেখতে পাবেন। এখানে Skip ও Next দেখতে পাবেন, Next Select করুন। এরপর Copy data from an android phone সিলেক্ট করুন।
এরপর কেবল দিয়ে দুইটি ডিভাইস কানেক্ট করুন। আবার চাইলে গুগলে জমা থাকা ক্লাউড ব্যাকাপ ব্যবহার করেও ব্যাকাপ রিস্টোর করা যাবে। সেক্ষেত্রে “Can’t use old phone” এর মত কোনো অপশন খুঁজে নিয়ে সেটি সিলেক্ট করেও কেবল ছাড়া ব্যাকাপ রিস্টোর করতে পারবেন।
এরপর আপনার পুরোনো ফোনে ডাটা কপি করার নোটিফিকেশন পাবেন ও গুগল একাউন্ট কানেক্ট করে তারপর নতুন ফোনে অথেনটিকেশন সম্পন্ন করুন। এরপর যেসব ডাটা কপি করতে চান, সেগুলো সিলেক্ট করার অপশন পাবেন।
এরপর নতুন ফোনে কি কি ডাটা কপি করতে চান সেসব ডাটা সিলেক্ট করুন। এরপর যেসব ডাটা দরকার সেসব ডাটা সিলেক্ট করুন। বিশেষ করে নতুন ফোনে অ্যাপ কপি করার চেয়ে নতুন করে প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করা উত্তম। তাই ভেবেচিন্তে যেসব ডাটা দরকার শুধু সেগুলোই কপি করার জন্য সিলেক্ট করুন। Apps অপশন সিলেক্ট করে অ্যাপ প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো সিলেক্ট বা ডিসিলেক্ট করতে পারবেন।
পুরোনো ফোন থেকে সকল অ্যাপ নতুন ফোনে কপি করার কোনো মানে হয়না। সেক্ষেত্রে আগের ফোনের মত নতুন ফোন ও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপে পূর্ণ হয়ে যাবে। আর কোনো অ্যাপ প্রয়োজন হলে তা বেশ সহজে অল্প সময়ের মধ্যে প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করতে পারবেন।
অ্যাপ এর পাশাপাশি পুরোনো ফোনে থাকা ফটোস ও ভিডিও ও কপি করা যাবে। এছাড়া ফোনে থাকা অডিও কপি করার ও অপশন পেয়ে যাবেন। আবার আপনি যদি কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে তো বেশ সহজে উক্ত অ্যাপ ইন্সটল করে আপনার আগের ডাউনলোডগুলো পুনরায় পেয়ে যাবেন। যেসব ডাটা কপি করতে চান সেগুলো সিলেক্ট করে Copy অপশনে ট্যাপ করুন।
এরপর ডাটা কপি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ও ডাটার সাইজ অনুসারে কিছু সময়ের মধ্যে পুরোনো ফোন থেকে নতুন ফোনে ডাটা কপি হয়ে যাবে।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
👉 অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইফোনে ডাটা কপি করার উপায়
উল্লেখিত উপায়ে বেশ সহজে পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডাটা কপি করা যাবে। এছাড়া ক্লোন ইট এর মত অ্যাপ ব্যবহার করেও একই কাজ করতে পারবেন যা ব্যবহার বেশ সহজে ব্যবহারযোগ্য।
👉 বোনাস ভিডিওঃ গ্রামীণফোন ই-সিম সম্পর্কে যেসব তথ্য আপনার জানা দরকার
👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।