সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো সহ ইন্টারনেটে এ ধরণের অন্যান্য সেবার ওপর বিশেষ নজদারি বা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করার বেশ কিছু প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি)তে এসব কনটেন্ট ফিল্টারিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হলে অনলাইন শেয়ারিং বিষয়ক কন্ট্রোল ও মনিটরিংয়ের মূল ক্ষমতা থাকবে বিটিআরসির হাতে।
গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে “ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন” চেয়ে আন্তর্জাতিক সেবাদাতাসমূহের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন দেয়, যার ডেডলাইন ছিল ২০ মে। সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানাচ্ছে, কমিশন ইতোমধ্যেই কয়েকটি কোম্পানির কাছ থেকে আগ্রহপত্র পেয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে মূল প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি বলছেন, “রাষ্ট্রীয়, সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায়- ওয়েবসাইটগুলো থেকে এমন বিষয় সনাক্ত করে তা বন্ধ করে দেয়া হবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে।”
ঐ বিজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ আছে, ফিল্টারিং প্রযুক্তি এমন হতে হবে যা চালু করলে তাতে ইন্টারনেট স্পিডের ওপর কোন প্রভাব থাকবেনা এবং আইআইজিসমূহও নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে। প্রযুক্তিটি এমনভাবে তৈরি হবে যাতে এর দ্বারা মূল সাইট চালু রেখেই আপত্তিকর কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। এসব ক্ষেত্রে সলিউশন প্রোভাইডারও বিটিআরসিকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেবে।
নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলাম অবমাননামূলক ব্যাপক সমালোচিত চলচ্চিত্র “ইনোসেন্স অব মুসলিমস” এর ভিডিও ক্লিপ সরিয়ে না নেয়ায় গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে পুরো ইউটিউব সাইটটিই ব্লক করে দেয় বিটিআরসি। উক্ত ফিল্টারিং ব্যবস্থা চালু হলে এর দ্বারা নির্দিষ্ট কোন কনটেন্ট এক্সেস বন্ধ করে দেয়া যাবে, সেক্ষেত্রে পুরো সাইট ব্লক করার দরকার হবে না।
এ ব্যাপারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব মোস্তফা জব্বার বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অপপ্রচারে নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে এ প্রেক্ষাপটে এ উদ্যোগ ঠিকই রয়েছে। তবে এ ফিল্টার যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হয়- সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।”;
ফিল্টার চালু হলে সামাজিক যোগযোগের সাইট ব্যবকারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হবে কি না সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মিঃ মোস্তফা বলেন, “বিষয়টি অন্যভাবে দেখতে হবে। কেউ যদি অন্য কাউকে সরাসরি কটাক্ষ বা ক্ষতির কারণ তৈরি করে, তা নিয়ন্ত্রণ বা ফিল্টার করা উচিত। তা না হলে সমস্যা থেকেই যাবে।”; উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এ ধরণের নজরদারি ব্যবস্থা আছে বলেও জানান তিনি।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।