প্রাক্তন নকিয়া টিম তৈরি করল নতুন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন!

Jolla-Sailfish-OS.jpgvbjvbফিনিশ ইলেকট্রনিকস নির্মাতা নকিয়ার কিছু প্রাক্তন কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম নিজেরা আলাদা কোম্পানি গঠন করে নতুন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। “সেইলফিশ (Sailfish)” নামের কাস্টম অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই ডিভাইসের ব্র্যান্ডনেম হচ্ছে “জলা (Jolla: ইয়োল-লা হিসেবেও উচ্চারিত হয়)”; ওএস’টি মূলত নকিয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়া “মিগো” প্রজেক্টের অবশিষ্টাংশ থেকেই ডেভলপ করা হয়েছে।

নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন, ২০১১ সালে ফিনিশ কোম্পানিটি স্মার্টফোন বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে নিজেদের সিম্বিয়ান ও তৎপরবর্তী মিগো অপারেটিং সিস্টেম বাদ দিয়ে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোন ওএস নির্ভর হ্যান্ডসেট তৈরির দিকে ঝুঁকে পরে। মিগো চালিত নকিয়ার (একমাত্র) এন৯-০০ স্মার্টফোন আশানুরূপ সাড়া তুলতে সক্ষম হয়নি।

এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশনও চালাতে পারবে “সেইলফিশ” ওএস!

চলতি বছরের শেষ নাগাদ নতুন এই স্মার্টফোন বিক্রি শুরু হবে এবং তা শুধু্মাত্র অনলাইনেই কেনা যাবে। বলাই বাহুল্য, মোবাইল মার্কেট ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম এবং ব্র্যান্ড দ্বারা ঘিরে আছে। এর মধ্যে নতুন আরেকটি প্ল্যাটফর্ম এসে কতটা লাভবান হবে কিংবা আদৌ টিকে থাকতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নও রয়ে যায়। তবে এর নির্মাতা কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এন্টাই সার্নিও বলেন, দুই বছর যাবত মোবাইল ফোন মার্কেটে নতুন কিছু আসছেনা, এবং তাদের পণ্যগুলো ভিন্নধর্মী হবে। অন্যান্য কোম্পানিও উক্ত ওএসটি ব্যবহার করতে পারবে বলে জানান তিনি।

সেইলফিশ চালিত নতুন এই ডিভাইসের ৪.৫ ইঞ্চি স্ক্রিন এবং ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকবে। এটি ফোরজি নেটওয়ার্ক সমর্থিত হবে ও গুগল এন্ড্রয়েডের জন্য তৈরি এপ্লিকেশন চালাতে পারবে। এর ব্যাক কভার পরবির্তন করা সম্ভব হবে যা ফোনটির পুরো ইউজার ইন্টারফেসেই প্রভাব বিস্তার করবে। অর্থাৎ, ব্যাক কভারের রঙ অনুযায়ী মোবাইলের থিম কালার এবং ইউআই পরিবর্তিত হবে। এছাড়া নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন বা এনএফসি প্রযুক্তিও থাকতে পারে এই ডিভাইসে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *