
মুঠোফোনের ৪০ তম জন্মদিন আজ। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল পৃথিবীর প্রথম সেলফোন কলটি প্লেস করা হয়েছিল। টেলিকম কোম্পানি মটোরোলার সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান বেল ল্যাবসে কর্মরত আরেকজন কর্মকর্তাকে ফোন করে বলেন, তিনি একটি প্রকৃত সেলুলার টেলিফোন থেকে কথা বলছেন।
সেই থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহার বেড়েই চলছে। প্রাত্যাহিক জীবনে এটি এক অবিচ্ছেদ্য উপাদান। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বরাত দিয়ে বিবিসি জানাচ্ছে, ২০১২ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ৬ বিলিয়ন মোবাইল ফোন গ্রাহক ছিল। আর তখন পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল ৭ বিলিয়ন।
৮৫ বছর বয়সী মার্টিন কুপারকেই মোবাইল ফোনের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রথম দিকে তিনি এর উচ্চমূল্য দেখে গেজেটটি সাধারণ লোকজনের ব্যবহারযোগ্য পণ্য হিসেবে বাজারে আসার ব্যাপারে কিছুটা সন্দিহান হলেও এর খরচ কমে আসার প্রতি আশাবাদী ছিলেন। মটোরোলার প্রথম বাণিজ্যিক মোবাইল ফোনের মডেল ছিল ডায়নাট্যাক ৮০০০এক্স, যা বিক্রি শুরু হয় ১৯৮৩ সালে।
১৯৬০ সালে অ্যামেরিকান টেলিকম সেবাদাতা এটিএন্ডটি “কার টেলিফোন” উদ্ভাবন করার পরে মিঃ কুপার সেলফোনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। তিনি এমন কিছু তৈরি করতে চাইলেন যা একটি নাম্বারকে কোন স্থান, ডেস্ক বা বাড়ির প্রতি নির্ধারিত না করে একজন ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট করতে পারবে।
প্রথম মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটটি মটোরোলা কর্তৃক নির্মিত হলেও শেষ পর্যন্ত বাজার ধরে রাখতে পারেনি মার্কিন এই কোম্পানি। এক পর্যায়ে ইন্টারনেট ফার্ম গুগল একে কিনে নেয়। এছাড়া নকিয়া উল্লেখযোগ্য সময়কাল ধরে মোবাইল মার্কেটে রাজত্ব করলেও অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের কাছে টিকে থাকতে পারেনি ফিনিশ এই ইলেকট্রনিকস নির্মাতা।