এন্ড্রয়েড কল রেকর্ডিং অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাবে – প্লে স্টোরে নতুন নিয়ম

স্মার্টফোনে কল রেকর্ডিং অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। কোনো কোনো ফোনে কল রেকর্ডিং ফিচার আগে থেকেই উপস্থিত থাকে। সেসব ফোনে আলাদাভাবে থার্ড পার্টি কল রেকর্ডার অ্যাপ ইনস্টল করার দরকার হয়না। কিন্তু অনেক ফোনে কল রেকর্ডিং ফাংশনালিটি বিল্ট-ইন থাকেনা। সেসব ক্ষেত্রে অনেক ব্যবহারকারী প্লে স্টোর থেকে কোনো একটি কল রেকর্ডার অ্যাপ ডাউনলোড করে নেন।

যদিও কাউকে না জানিয়ে তার সাথে চলমান কথপোকথন রেকর্ড করা অনেক দেশে বেআইনি। আবার এটা অনেকটা বিব্রতকরও বটে। আপনি যদি কাউকে জানিয়ে কল রেকর্ড করেন তাহলে দেখবেন অনেকেই আপনার সাথে কথা বলতে বিব্রত বোধ করবেন। আবার কাউকে না জানিয়ে কল রেকর্ড করার ব্যাপারটিও অনেকে অনৈতিক বলে মনে করেন।

এন্ড্রয়েডের ডেভেলপার গুগলও এ কথা জানে। তাই গুগল অনেক আগে থেকেই ফোনে কল রেকর্ডিংকে নিরুৎসাহিত করে এসেছে। এন্ড্রয়েড ৬ রিলিজের সাথে গুগল অফিসিয়াল এন্ড্রয়েড কল রেকর্ডিং এপিআই বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরেও ডেভলপাররা কোনো না কোনো ভাবে বিষয়টি ম্যানেজ করে কল রেকর্ডিং ফাংশনালিটি ব্যবহার করত। কিন্তু এন্ড্রয়েড ১০ দ্বারা সেই সুবিধাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডেভলপাররা এন্ড্রয়েডের এক্সেসিবিলিটি সার্ভিস ব্যবহার করে আনঅফিসিয়ালভাবে কল রেকর্ডিং সিস্টেম ব্যবহার করত।

কিন্তু সম্প্রতি গুগল প্লে ডেভেলপার পলিসি আপডেট থেকে এটা জানা গেছে যে, এখন থেকে যেসব অ্যাপ কল রেকর্ডিংয়ের জন্য আনঅফিসিয়ালভাবে এক্সেসিবিলিটি সার্ভিস ব্যবহার করবে সেগুলো প্লে স্টোরের পলিসি ভঙ্গ করেছে বলে বিবেচিত হবে।

এর মানে হচ্ছে, বর্তমানে যেসব থার্ড পার্টি এন্ড্রয়েড কল রেকর্ডিং অ্যাপ আপনি প্লে স্টোরে দেখছেন সেগুলো মূলত আনঅফিসিয়ালভাবে কল রেকর্ড করার জন্য এন্ড্রয়েডের এক্সেসিবিলিটি সার্ভিস ব্যবহার করছে। প্লে স্টোরের এই নতুন পলিসি কার্যকর হবে ২০২২ এর মে মাসের ১১ তারিখ থেকে।

এরপর থেকে প্লে স্টোরে যেসব অ্যাপ কল রেকর্ডিং ফাংশন দিবে সেগুলো মূলত প্লে স্টোরের পলিসি ভঙ্গ করবে। সুতরাং গুগল সেসব অ্যাপ আর প্লে স্টোরে নাও রাখতে পারে। এভাবে হতে হতে ভবিষ্যতে আর নতুন কোনো কল রেকর্ডার অ্যাপ প্লে স্টোরে পলিসি বিরোধী হওয়ায় এপ্রুভাল না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

তাই আপনি যদি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে প্লে স্টোর থেকে কোনো কল রেকর্ডার অ্যাপ ইনস্টল করে থাকেন তাহলে ১১ মে থেকে শুরু করে কোনো একসময় সেই অ্যাপটি হয়ত প্লে স্টোর থেকে বিদায় নিতে পারে। কারণ পলিসি ভঙ্গ করে অ্যাপটির ডেভেলপার হয়ত নিজের একাউন্টের জন্য ঝুঁকি নেবেন না। এছাড়া গুগলও এরকম অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে মুছে ফেলতে পারে।

তাহলে কল রেকর্ডিংয়ের কী হবে? আপনার ফোনে যদি বিল্ট-ইন কোনো কল রেকর্ডিং ফিচার থাকে তাহলে সেটা এর পরেও কাজ করতে থাকবে। কারণ সেসব ক্ষেত্রে ফোনের নির্মাতা কোম্পানি এই ফিচারটি নিজেই রমের মধ্যে তৈরি করে দিয়েছে। এটা প্লে স্টোরের উপর নির্ভরশীল নয়। আবার এটা এক্সেসিবিলিটি এপিআইও ব্যবহার করেনা। সুতরাং শাওমি, অপো, রিয়েলমি, পিক্সেল প্রভৃতি যেসব ফোনে কল রেকর্ডিং ফিচার নিজ থেকেই দেয়া আছে সেগুলো এর পরেও কাজ করবে, সেগুলো এই কারণে বন্ধ হবেনা।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

এন্ড্রয়েড কল রেকর্ডিং অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাবে - প্লে স্টোরে নতুন নিয়ম

👉 এন্ড্রয়েড ফোন নিরাপদ রাখতে এই কাজগুলো করুন

তবে গুগল পিক্সেল সহ কিছু কিছু ফোনে কল রেকর্ড করার আগে কলে থাকা উভয় ব্যক্তির কাছে একটি বার্তা শোনানো হয় যে কলটি রেকর্ড করা হচ্ছে। আবার রেকর্ডিং বন্ধ হলেও একইভাবে জানানো হয় যে রেকর্ডিং বন্ধ হয়েছে।

বর্তমানে ট্রু কলার সহ আরও বেশ কিছু অ্যাপ কল রেকর্ডিং সুবিধা দিচ্ছে। এখন নতুন এই পলিসির কারণে হয়ত শীঘ্রই আপডেটের মাধ্যমে সেসব অ্যাপ থেকে ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তা না হলে অ্যাপটি নিজেই প্লে স্টোরে নিজের অস্তিত্ব হারানোর আশংকায় থাকবে।

আপনি কি ফোনে কল রেকর্ডিং অ্যাপ ব্যবহার করেন? নতুন এই পলিসি সম্পর্কে আপনার মতামত কী? কমেন্টে জানান!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

3 comments

  1. Moniruzzaman Reply

    Sobkichur valo mondo dik ace,tai bole monder karone valo kicu bondho Howa uchit na..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *