কপিরাইট মামলায় আবারও জয়ী হল ইউটিউব

ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব আরও একবার কপিরাইট সঙ্ক্রান্ত আইনী লড়াইয়ে জলয়াভ করেছে। ভিয়াকম নামক একটি মিডিয়া কোম্পানি গুগলের মালিকানাধীন এই সেবাটির বিরুদ্ধে মেধাস্বত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিল। তাদের দাবী ছিল, ইউটিউবে আপলোডকৃত পাইরেটেড কনটেন্টের জন্য ভিডিও আদান প্রদান করার এই সাইটটিই দায়ী থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত ঐ অভিযোগ ফলপ্রসূ হয়নি।

ভিয়াকমের সাথে একই মামলায় মূলত তিন বছর আগেই জয় পায় গুগল ইউটিউব। তবে বছরখানেক আগে প্রতিপক্ষ আপিল আদালতে যাওয়ায় কেসটি পুনারায় সক্রিয় হয়েছিল। আর সেখানেও ইউটিউবই বিজয়ী হয়

কপিরাইট প্রশ্নে সোশ্যাল মিডিয়ার আরেকটি বিজয়

সাইটে আপলোডকৃত কপিরাইট লঙ্ঘনকারী কনটেন্ট সম্পর্কে ইউটিউব অবগত ছিল কিনা- সেটিই আলোচ্য আইনী লড়াইয়ের মূল উপজীব্য বিষয়। আরও নির্দিষ্টভাবে, ইউটিউব যে সত্যিই এসব পাইরেটেড ক্লিপের ব্যাপারে জানত না সেটি প্রমাণ করার দায়িত্ব তাদের নিজেদের ওপর কেন বর্তাবে না?

ভিয়াকমের উক্ত অভিযোগের ব্যাখ্যায় বিচারক বলেন, বিশেষ কোন কনটেন্টের কপিরাইট ইস্যু নিয়ে ইউটিউবের অবগত থাকা না থাকা প্রমাণ করার দায়ভার সাইটটির ওপর চাপিয়ে দেয়া যায়না। এছাড়া অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানটির কাছেও এই ব্যাপারে ইউটিউবের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করার মত অকাট্য কোন যুক্তি ছিলনা।

রায় দেয়ার সময় কোর্ট ডিএমসিএ (ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট এক্ট) এর কথা উল্লেখ করেন, যা সামাজিক আদানপ্রদানের সাইটগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়। ডিএমসিএ অনুযায়ী, যেসব ওয়েবসাইট পাইরেটেড বিষয়বস্তু হোস্ট করবে তারা কপিরাইট মালিকদের কাছ থেকে যথাযথ নোটিশ পেলে অভিযুক্ত কনটেন্টসমূহ মুছে ফেলবে। যদিও ইউটিউবের নীতিমালা এগুলো সমর্থন করেনা বলে ভিয়াকম দাবি তুলেছিল, কিন্তু আদালত সেগুলো আমলে নেননি।

সাম্প্রতিক ঐ রায়ে ইউটিউব স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশী হয়েছে। সাইটটি বলেছে, “এই জয় শুধু ইউটিউবের নয়, বরং সবার যারা তথ্য ও ধারণা আদান প্রদান করতে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল”; তবে ভিয়াকম পুনরায় উচ্চতর আপিল আদালতে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *