এন্ড্রয়েডের সাথে পাল্লা দিতে মাঠে নামল চীনা জায়ান্ট আলিবাবা

amos setsচীনের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স সাইট আলিবাবা গুগল এন্ড্রয়েড মোবাইল ওএসের সাথে ঢাকঢোল পিটিয়ে লড়াই শুরু করে দিয়েছে। সাইটটি তাদের এমোস (Amos) অপারেটিং সিস্টেমের জন্য এপ্লিকেশন নির্মাণ এবং প্ল্যাটফর্মটির ওপর হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারদের সহায়তাস্বরূপ ১ বিলিয়ন ইউয়ান (১৬২ মিলিয়ন ডলার) তহবিল ঘোষণা করেছে। এর আওতায়, যেসব কোম্পানি এমোস সফটওয়্যার নির্ভর হ্যান্ডসেট তৈরি করবে তাদের জন্য মাসিক ডিভাইস বিক্রির ওপর বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ থাকবে।

সম্প্রতি, মোবাইল মার্কেটে গুগল এন্ড্রয়েডের আধিপত্য নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এন্ড্রয়েডকে ওপেন সোর্স হিসেবে স্বীকার করেই দেশটির শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণাপত্রে বলেছে অপারেটিং সিস্টেমটির “মূল প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত নকশা গুগল কর্তৃক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে”; প্রতিবেদনটি আরও উল্লেখ করেছে “আমাদের দেশের (চীনের) মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম সঙ্ক্রান্ত গবেষণা এবং উন্নয়ন কার্যাবলী এন্ড্রয়েডের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল”।

গুগলের চোখ এড়িয়ে বড় কোম্পানিগুলো এমোস বেছে নিতে পারবে?

ইতোপূর্বে আরেকবার নিজস্ব মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করেছিল আলিবাবা। তাইওয়ানের ইলেকট্রনিকস কোম্পানি এসার ই-কমার্স কোম্পানিটির আলিয়ান ওএস ভিত্তিক স্মার্টফোন বাজারে আনতে চাইলে গুগল তাতে বাধা দেয়। সার্চ সেবাদাতার অভিযোগ ছিল, আলিয়ান মূলত এন্ড্রয়েডের একটি “অসমর্থিত” ভার্সন যা সফটওয়্যারটিকে বিভক্ত করে তুলবে।

গুগলের পক্ষ থেকে এসারকে এন্ড্রয়েড সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা বাতিলের হুমকি দেয়া হলে শেষ পর্যন্ত আলিয়ান ভিত্তিক সেট বাজারজাত করা থেকে বিরত হয় তারা। এছাড়া আলিয়ান স্টোরে পাইরেটেড গুগল এপ থাকার অভিযোগ তোলে এন্ড্রয়েড ডেভলপার। অপরদিকে ওপেন হ্যান্ডসেট এলায়েন্সের বাধ্যবাধকতা তো ছিলই।

বর্তমানে এমোস (Amos: আলিবাবা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম) চালিত হ্যান্ডসেট নির্মানে এগিয়ে এসেছে “হায়ার” নামক বিখ্যাত ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন নির্মাতা। আরও পাঁচটি কোম্পানি এই তালিকায় যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে আলিবাবা।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,580 other subscribers

1 Comment

  1. Zahidur Rahman Reply

    এন্ড্রয়েডের আধিপত্য আরো কিছুকাল চলতে থাকবে যতক্ষন না মোবাইল টেকনোলজিতে আমূল কোন পরিবর্তন ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *