উড়োজাহাজে লেজার নিক্ষেপ করায় আড়াই বছর কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৯ বছর বয়সী একটি ছেলে দুই উড়ন্ত আকাশযানে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করায় আদালতে তার বিরুদ্ধে আড়াই বছর কারাদণ্ডের রায় ঘোষিত হয়েছে। গত বছর মার্চ মাসে এডাম গার্ডেনহায়ার লেজার-পেনের মাধ্যমে একটি বিজনেস জেট বিমানে সবুজ রঙের লেজার ছোঁড়ে। এরপর উক্ত আলোকের উৎস খুঁজতে আসা প্যাসাডিনা পুলিশ হেলিকপ্টারের দিকেও সে একই রশ্মি তাক করে।

বিবিসি’র তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে মিঃ এডাম হচ্ছেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি বিমানের দিকে লেজার পয়েন্ট করায় কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। গত অক্টোবরে এডাম গার্ডেনহায়ার আদালতে আত্নপক্ষ সমর্থন করে জবাব দিয়েছিলেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে এ ধরণের কাজ “ফেডারেল ক্রাইম” হিসেবে বিবেচ্য হয়ে আসছে।

যারা লেজার-লাইট ব্যবহার করেছেন তারা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, ডিভাইসটির রশ্মি বহুদূর পারি দিতে সক্ষম এবং দূরত্ব বাড়লে এর ব্যাসও বৃদ্ধি পায়। তখন কারো চোখে লেজার আলো পতিত হলে ক্ষণস্থায়ীভাবে তা চারপাশের বিষয়বস্তু দেখতে সমস্যা সৃষ্টি করে।

প্রথম যে উড়োজাহাজের দিকে লেজার ছোঁড়া হয় সেটির চালক উক্ত কারণে কয়েক ঘন্টা দৃষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলেই জানাচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ার এটোর্নি সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্ট। তবে আলোচ্য হেলিকপ্টার পাইলটের চোখে প্রতিরোধী গ্লাস থাকায় তার কোন জটিলতা হয়নি। সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি (সিএএ) বলছে, এ ধরণের অধিক তীক্ষ্ণতা বিশিষ্ট আলো বৈমানিকদের বিমানচালনায় মারাত্নক অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে, যা থেকে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়।

ইদানীং বিশ্বের বহু স্থানে উড়োজাহাজের দিকে লক্ষ্য করে লেজার রশ্মি ছোঁড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন বছরে এ সঙ্ক্রান্ত ৪৫০০’র বেশি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিবিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.