একচেটিয়া ব্রাউজার দ্বন্দ্বঃ ইউরোপে মোটা অংকের জরিমানা দেবে মাইক্রোসফট

মার্কিন সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফট ইউরোপে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহারের অপশন না রাখা সঙ্ক্রান্ত দ্বন্দ্বের পর শেষ পর্যন্ত জরিমানা দিতে যাচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক আরোপিত এই আর্থিক শাস্তির পরিমাণ হচ্ছে ৭৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫৮১ মিলিয়ন ইউরো)।

২০০৭ সালে উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে ব্রাউজার চয়েস অপশন না থাকায় প্রাথমিকভাবে এর ভোক্তারা মাইক্রোসফট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ছাড়া আর কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারতেন না। নরওয়ের ব্রাউজার কোম্পানি অপেরা সর্ব প্রথম বিষয়টি নিয়ে আভিযোগ তোলে। তখন মাইক্রোসফট একে গ্রাহকদের সুবিধার্থে করা হয়েছে বলে চালিয়ে দিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক ব্যাপরটি নজরে আনার পর ২০১০ সালে তারা একটি ব্রাউজার সিলেকশন পপ-আপ স্ক্রিন চালু করে। ঐ সময় উইন্ডোজ ডেভলপার জরিমানা এড়ানোর জন্য কমপক্ষে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উক্ত স্ক্রিন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে উইন্ডোজ সেভেন আপডেট ইস্যু করার পর ব্রাউজার বাছাই বিকল্প সুবিধাটি হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানি উক্ত ঘটনাকে একটি “টেকনিক্যাল এরর” হিসেবে বর্ণনা করে।

কিন্তু এসব অজুহাত শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি মাইক্রোসফটকে। আইনানুযায়ী ইইউ কমিশন কোম্পানিটির বৈশ্বিক আয়ের ১০% জরিমানা করতে পারে- ২০১২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী যার পরিমাণ প্রায় ৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কমিশন কর্তৃক গৃহীত জরিমানার সিদ্ধান্তে উইন্ডোজ নির্মাতা বলেছে, “যে টেকনিক্যাল ত্রুটি ঐ অসুবিধা সৃষ্টি করেছে তার পুরো দায়িত্ব আমরা নিয়েছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।” ইইউ কমিশনের অনুসন্ধানে সম্পূর্ণ সহায়তা প্রদান এবং ভবিষ্যতে এরকম কোন সমস্যা যাতে দেখা না দেয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে মাইক্রোসফট।

শুধু রেডমন্ড নয়, এ সঙ্ক্রান্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও উক্ত পদক্ষেপ একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *