সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোডের প্রয়োজনেই হোক কিংবা শখের বশে, আমরা সবাই কমবেশি স্মার্টফোনে ছবি এডিট করে থাকি। কিন্তু অ্যাপ স্টোরগুলোতে হাজারটা অ্যাপ এর মধ্য থেকে সবচেয়ে কাজের কিংবা সময় উপযোগী অ্যাপটি খুঁজে বের করা সময়সাপেক্ষ। আপনার সময় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আমরা খুঁজে বের করেছি সেরা ১০ এন্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ।
পিকসআর্ট
আজ পর্যন্ত স্মার্টফোনের জন্য যত ফটো এডিটর বিদ্যমান, এর মধ্যে পিকসআর্ট অ্যাপটিকেই সবচেয়ে বেশি ফিচারবহুল আর অ্যাডভান্সড হিসেবে মনে করেন অনেকেই। ৫০০ মিলিয়নের অধিকবার ডাউনলোডকৃত এই অ্যাপটির ৪.৩ স্টার রেটিং দেখেই অ্যাপটির জনপ্রিয়তা উপলব্ধি করা সম্ভব।
সাধারণ ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং– পিকসআর্ট এর তিন হাজারের উপর ফাংশনালিটি ব্যবহার করে সবকিছুই সম্ভব।
যা যা থাকছে পিকস আর্ট অ্যাপ এ–
- ফটো এডিটর
- ভিডিও এডিটর
- ড্র ফিচার, যা মাধ্যমে আঁকিবুঁকি সম্ভব
- কার্ভ টুল
- রিপ্লে ফিচার, যার মাধ্যমে এডিট এর টাইমলাইন দেখা সম্ভব
- ফ্রি-টু-এডিট ইমেজ লাইব্রেরি
- ফ্রি স্টিকার এবং স্টিকার মেকার
- ম্যাজিক ইফেক্টস
- কলাজ, গ্রিড ফটো মেকার এবং আরো অনেককিছু
স্ন্যাপসিড
সফটওয়্যারটি যখন গুগল এর তরফ থেকে আসা, সেক্ষেত্রে নিজের সেরাটা দিতেই বদ্ধ পরিকর স্ন্যাপসিড অ্যাপ। ফ্রি ফটো এডিটর হিসেবে সবচেয়ে বেশি ফিচার রয়েছে অ্যাপটিতে।
চলুন এক নজরে দেখে নিই স্ন্যাপসিড অ্যাপ এর উল্লেখযোগ্য ফিচারসমূহ–
- ২৯ রকমের টুল এবং ফিল্টার, হিলিং, ব্রাশ, এইচডিআর
- জেপিজি, পিএনজি এবং র (Raw) ফাইল সাপোর্ট
- সিলেক্টিভ ব্রাশ টুল
- পারস্পেক্টিভ এডিট
- কার্ভ টুল
- ফ্রেম
- ডাবল এক্সপোজার
- ফেস এডিটিং
- টিউটোরিয়াল এবং আরো অনেককিছু
এডোবি লাইটরুম
এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে ছবির জগতে আলাদা সম্মানে সম্মানিত এডোবি এর সফটওয়্যার এডোবি ফটোশপ। স্মার্টফোনে ছবি এডিটিং এর বেলায় সেই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে এডোবি লাইটরুম অ্যাপটির আবির্ভাব। মূলত ল্যান্ডস্কেপ কিংবা পোর্ট্রেইট ছবি এডিটিং এর লক্ষ্যে নির্মিত এই অ্যাপটিতে রয়েছে অনেক শক্তিশালী টুল এবং ফিচার। যদিওবা কিছু ফিচার আনলক করতে পেইড মেম্বারশিপ প্রয়োজন, তবুও ফ্রিতেই ব্যবহার করা যাবে এর অধিকাংশ সুবিধা।
যেসব ফিচার থাকছে এডোবি লাইটরুম এ–
- অ্যাডভান্সড ক্যামেরা কন্ট্রোল
- ব্যাসিক এডিটিং টুলস
- প্রি-মেইড রিসোর্স
- প্রিমিয়াম কালার কন্ট্রোল
- এডভান্সড ফটো শেয়ারিং
- টিউটোরিয়াল এবং আরো অনেককিছু
এয়ারব্রাশ
১ কোটিরও অধিকবার ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ এয়ারব্রাশ এর ১০ লক্ষেরও অধিক রিভিউ। এর ৪.৮ স্টার রেটিংস দেখেই বুঝতে পারা যায় অ্যাপটির কার্যকরিতা। মূলত পোর্ট্রেইট ছবি এডিটিং করার লক্ষ্যে নির্মিত অ্যাপটিতে থাকছে–
- ব্লেমিশ এবং পিম্পল রিমুভার
- আই এবং টিথ এডিটিং
- স্কিন টোন এডিটিং
- স্লিমিং এবং রিশেইপিং
- ন্যাচারাল ফিল্টার এবং আরো অনেককিছু
ভাস্কো
দেখতে সাধারণ মনে হলেও ভাস্কো অ্যাপটি দিয়ে অসাধারণ লেভেল এর ছবি এডিট করা সম্ভব। অনেকগুলো ফ্রি ফিচার এবং প্রিসেট এর পাশাপাশি মেম্বারশিপ কেনার মাধ্যমে আরো এডভান্সড টুলস এবং প্রিসেটস পাওয়া যাবে ভাস্কো অ্যাপ এ।
👉 ওয়ালপেপার ডাউনলোড করার সেরা অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট
এছাড়াও নিজস্ব প্রিসেট তৈরী এবং সংরক্ষণও করা যাবে। পাশাপাশি ভিডিও এডিটিংও করা যাবে অ্যাপটির মাধ্যমে।
যা যা থাকছে অ্যাপটিতে–
- ব্যাসিক ফটো এডিটিং টুলস
- প্রিসেট লাইব্রেরি
- ভিডিও এডিটিং
- প্রিমিয়াম কালার কন্ট্রোল
- টিউটোরিয়াল এবং আরো অনেককিছু
টুলউইজ ফটোস
অসংখ্য ফিচার এবং ফিল্টার নিয়ে নিজের অবস্থান সগৌরবে জানান দিচ্ছে টুলউইজ ফটো এডিটর অ্যাপটি। সম্পূর্ণ ফ্রি এই অ্যাপটিতে থাকছে অনলাইন লাইব্রেরি যেখানে পাওয়া যাবে আরো অনেকগুলো ফটো এডিটিং ম্যাটেরিয়াল বা টুল। যা যা থাকছে টুলউইজ ফটোস অ্যাপ এ–
- ম্যাজিক ফিল্টার
- ডাবল এক্সপোজার
- ফটো কোলাজ
- ড্র ফিচার
- ফেস টিউন
- ডিসকভার সেকশন
লুমি
মূলত সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর ছবি এডিটিং মাথায় রেখে তৈরি অ্যাপ লুমি’তে থাকছে অনেক পাওয়ারফুল ফটো এডিটিং টুল এবং সুন্দর সুন্দর নজরকাড়া কিছু ইফেক্ট। এছাড়াও আপনি চাইলে নিজের মত ফিল্টার তৈরী করতে পারবেন অ্যাপটিতে। যা যা থাকছে লুমি অ্যাপ এ–
- ফটো ফিল্টার এবং ইফেক্টস
- এডভান্সড কালার মোড এডিটর
- ডাবল এক্সপোজার
- গ্লিচ ইফেক্টস
- ফটো এডিট টাইমলাইন এবং আরো অনেককিছু
প্রিজমা
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। একটা সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সাড়া ফেলে দেয়া অ্যাপ প্রিজমা’কে নিয়ে কথা হচ্ছে। এই অ্যাপটিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মত কিছুই নেই। মূলত আর্টিস্টিক ধাঁচের সব ফিল্টারে ভর্তি প্রিজমা অ্যাপটির জৌলুশ আজও অক্ষুন্ন রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে।
মিক্স
অত্যাধুনিক সব ফিল্টার এবং ফিচারসমৃদ্ধ অ্যাপ মিক্স ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া উপযোগী ছবি এডিট করা খুবই সহজ। অভাবনীয় সব ইফেক্ট এবং পাওয়ারফুল কিছু টুল এর দেখা মিলবে অ্যাপটিতে। যা যা থাকছে মিক্স অ্যাপটিতে–
- ব্যাসিক ফটো এডিটিং
- এডভান্সড ফিল্টার
- কার্ভ এবং কালার মোড এডিটিং
- ওভার-লে টেক্সচার
- ট্রান্সফর্ম ফিচার
- রিটাচ ফিচার
- টিনি প্ল্যানেট ফিচার এবং আরো অনেককিছু
ভিমেজ
ভিমেজ অ্যাপটিকে ছবিতে প্রাণ সঞ্চার করা কিংবা ছবিকে ভিডিওতে রুপান্তর করার অ্যাপ হিসেবে পরিচয় দিলে ভুল হবেনা। মূলত ছবিতে এনিমেশন কিংবা বিভিন্ন এনিমেটেড ইফেক্ট যুক্ত করা যায় অ্যাপটি ব্যবহার করে। উল্লেখ্য যে গুগল প্লে স্টোরে ২০১৮ সালের সেরা অ্যাপ হিসেবে নির্বাচিত হয় অ্যাপটি।
উপরে উল্লিখিত ফটো এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে কোনটি আপনার সবচেয়ে বেশি পছন্দের? অথবা অন্য কোনো অ্যাপ? কমেন্ট করে জানিয়ে দিন!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।