বিকাশ একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। অনেকে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করবেন বা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। এই পোস্টে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এই পোস্টে জানতে পারবেনঃ
- কেন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করবেন
- বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে কি কি লাগে
- বিকাশ একাউন্ট বন্ধের আগে করণীয়
- বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
কেন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করবেন
বিভিন্ন কারণে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যদি একজন উৎসুক পাঠক হিসেবে এই পোস্টটি পড়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে বিষয়টি আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কারণে বিকাশ একাউন্ট বন্ধের প্রয়োজন হতে পারে।
বিদেশ গমন
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো সম্ভব হলেও বিকাশ ব্যবহার করা যায়না। দেশী অপারেটরের সিম যেহেতু সরাসরি বিদেশে চলে না, এই কারণে বিদেশে *247# মেন্যু থেকে বিকাশ ব্যবহার করা যায়না। এমনকি অ্যাপ দিয়েও না। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে মনোনীত এক্সচেঞ্জ হাউসসমুহ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মূল কথা হচ্ছে বিদেশে কোনো কাজে আসবে না বিকাশ একাউন্ট। তাই বিদেশ গমনের আগে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া শ্রেয়।
সিম বন্ধ করা
হতে পারে আপনি একটি সিম বন্ধ করে অন্য অপারেটরে মাইগ্রেট করবেন। আপনি যে সিমে বিকাশ ব্যবহার করছেন, সেটি বাদ দিয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে নেওয়া উচিত। যেহেতু উক্ত সিম আপনি আর ব্যবহার করবেন না, তাই উক্ত সিমে যাতে ভুলে কোনো লেনদেন না হয় তা নিশ্চিত করা জরুরি।
ফোন নাম্বার পরিবর্তন
বিকাশ কিন্তু ফোন নাম্বারের উপর নির্ভরশীল সেবা। অর্থাৎ ফোন নম্বর পরিবর্তন করলে আগের সিমে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে নতুন সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে। এক্ষেত্রেও কোনো ভুল লেনদেনের শিকার হতে না চাইলে ফোন নাম্বার পরিবর্তনের আগে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা উচিত।
একাধিক একাউন্ট
ধরুন কোনো কারণে আপনার কাছে একাধিক বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। এমন অবস্থায় একাধিক একাউন্টের লেনদেন একটি একাউন্টে নিয়ে আসা উত্তম। আবার বিকাশ বাদ দিয়ে অন্য কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, যেমনঃ নগদ, রকেট, ইত্যাদি ব্যবহার করতে চাইলে সেক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
👉 বিকাশ পিন ভুলে গেলে রিসেট করার নিয়ম
প্রতারণা থেকে বাঁচতে
বিকাশে প্রায়সই প্রতারণার শিকার হন অনেক ব্যবহারকারী। এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়লে প্রতারক থেকে বাঁচতে উক্ত সিমে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে পারেন।
নতুন একাউন্ট খোলা
বিকাশ একাউন্ট বন্ধের একটি সাধারণ কারণ হতে পারে নতুন একাউন্ট খোলা। অনেকে আগের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে নতুন বিকাশ একাউন্ট তৈরী করতে চান। সেক্ষেত্রে আগের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার দরকার হতে পারে। অনেকে প্রাথমিকভাবে বিকাশ একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের এনআইডি ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকেন। সেক্ষেত্রে নিজের নামে একাউন্ট খোলার আগে আগের একাউন্টটি বন্ধ করতে হতে পারে।
👉 বিকাশ একাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য করণীয়
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে কি কি লাগে
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসিপত্র প্রয়োজন। প্রথমত, যে সিমে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে, মোবাইলসহ উক্ত সিম প্রয়োজন হবে। কোনো কারণে উক্ত সিম হারিয়ে গেলে সিম তোলার ব্যবস্থা করুন। বিকাশ একাউন্ট বন্ধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সিমে খোলা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে হবে উক্ত সিম।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে যে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে উক্ত কার্ড প্রয়োজন হবে। উক্ত বিকাশ একাউন্ট যদি আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের এনআইডি দিয়ে খোলা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত সদস্যের এনআইডিসহ উক্ত সদস্যকে নিয়ে সিম বন্ধের জন্য বিকাশ অফিসে যেতে হবে।
বিকাশ একাউন্ট যদি অন্য কোনো ডকুমেন্ট, যেমনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট ব্যবহার করে খুলে থাকেন, সেক্ষেত্রে উক্ত কাগজ প্রয়োজন হবে। উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিন বিকাশ একাউন্ট বন্ধের আগে।
👉 বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম (বোনাস সহ!)
বিকাশ একাউন্ট বন্ধের আগে করণীয়
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার আগে অবশ্যই উল্লেখিত কাগজপত্র সংগ্রহ করে এক স্থানে নিয়ে আসুন। এরপর আপনার কাজ হবে যে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা হবে উক্ত বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স শূন্য (০) করা। একাধিক উপায়ে বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স খালি করতে পারেন।
বিকাশ একাউন্ট খালি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে বিকাশ একাউন্টে থাকা ব্যালেন্স ক্যাশ আউট করে ফেলা। আবার চাইলে পরিচিত কারো বিকাশ একাউন্টে উক্ত ব্যালেন্স সেন্ড মানি করে রাখতে পারেন। বিকাশ একাউন্ট বন্ধের আগে অবশ্যই ব্যালেন্সে থাকা টাকা তুলে নিতে ভুলবেন না।
👉 বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের লোন সম্পর্কে জানুন
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
উল্লেখিত সকল তথ্য সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করুন ও একাউন্ট বন্ধের কথা জানান। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করে কাস্টমার কেয়ার এজেন্টকে সহায়তা করুন একাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়ায়।
আপনার নিজের এনআইডি ব্যবহার করে খোলা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যান। আর অন্য কারো এনআইডি ব্যবহার করে একাউন্ট খোলা হলে উক্ত ব্যক্তিসহ তার এনআইডি নিয়ে যেতে ভুলবেন না। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে নতুন একাউন্ট খোলার ইচ্ছা থাকলে সেক্ষেত্রে আবার নিজের এনআইডিও নিয়ে যেতে পারেন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে।
নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ঠিকানা জানতে বিকাশ হেল্প লাইন বা কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগ করতে পারেন। বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার এবং বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
উল্লেখিত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করলে সফলভাবে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।