১৪০ কোটি টাকা বকেয়া ভ্যাট না পেলে গ্রামীণফোনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে পারে এনবিআর

বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেশটির শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনকে ১৪০ কোটি টাকা বকেয়া ভ্যাট চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এই অর্থ জমা দিতে ১ সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বুধবারে চিঠি ইস্যু করেছে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)-ভ্যাট। এর মধ্যে পাওনা টাকা না পেলে গ্রামীণফোনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার মত কঠিন পদক্ষেপও নিতে পারে এনবিআর।

দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু’জি) নেটওয়ার্ক লাইসেন্সে ভ্যাটের রেয়াত নেয়া অর্থ ফেরত পেতে এর আগেও জিপিকে চিঠি দিয়েছিল সংস্থাটি। তবে ঐ সময় আদালত থেকে স্টে-অর্ডার বা স্থগিতাদেশ নেয় গ্রামীণফোন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশ কোম্পানিটির পক্ষে না যাওয়ায় আপিল করেছিল দেশের অন্যতম শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ এই অপারেটর। কিন্তু আপিল বিভাগ জিপির আবেদনে “নো-অর্ডার” দেয়ায় উক্ত অর্থ পেতে এনবিআরের কার্যতঃ আর কোন আইনী বাধা নেই।

এলটিইউ-ভ্যাটের অতিরিক্ত কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, “আপিল বিভাগ থেকে গ্রামীণফোনের আবেদনে নো-অর্ডার দেয়ায় তাদের কাছে বকেয়া অর্থ পেতে আর কোনো বাধা নেই। এক সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ দেয়ার জন্য তাদেরকে চিঠি দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।”

পত্রিকাটি সূত্রের বরাত দিয়ে আরও জানায়, ‘টু-জির লাইসেন্সের অর্থ গ্রামীণফোন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে পরিশোধ করে। সেখান থেকেই তারা ভ্যাটের অর্থ রেয়াত নেয়। তবে এনবিআরের ভাষ্য হচ্ছে, বিটিআরসি ভ্যাটের অর্থ রেয়াত দেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ নয়। তাই তারা এই অর্থ রেয়াত দিতে পারে না এবং এই অর্থ রেয়াতযোগ্য নয়। পরবর্তীতে এই বকেয়া অর্থের জন্য এনবিআর কয়েক দফা গ্রামীণফোন কোম্পানিকে চিঠি দেয়’।

এছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসারত আরও তিনটি মোবাইল কোম্পানি সিটিসেল, বাংলালিংক ও রবিকেও সিম বিক্রির বকেয়া ১৮১ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে এনবিআর। এর মধ্যে সিটিসেলের কাছে ২৩ কোটি ৫৩ লাখ, বাংলালিংকের কাছে ৮২ কোটি ৩২ লাখ এবং রবির কাছে ৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *