নতুন বছর এলে সবাই নতুন নতুন পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য নিয়ে আগাতে থাকেন। আপনারো হয়তো নতুন বছরকে ঘিরে রয়েছে অনেক প্ল্যান। আপনি যদি একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার নতুন বছরে আরো কিছু কাজ করা উচিত। তাতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরো উন্নত হবে এবং অনেক ধরনের বাড়তি সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
যেহেতু আমরা পুরাতন একটি বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন একটি বছরে পদার্পণ করি সেই সাথে ব্যাংকগুলো তাদের ক্রেডিট কার্ড পলিসি পরিবর্তন করতে পারে এবং বিদ্যমান আর্থিক ব্যবস্থার কারণে বেশ কিছু কাজ নতুনভাবে করতে হয়।
আর তাই নতুন বছরের শুরুতে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন যাতে নিরাপদে এবং স্বাচ্ছন্দে করতে পারেন সেজন্যই আমাদের পোস্ট।
আমাদের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন নতুন বছরের শুরুতে একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর কী কী কাজ করা উচিত। চলুন শুরু করি।
কার্ডের বার্ষিক চার্জ এবং অন্যান্য খরচগুলো পুনরায় জেনে নিন
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আপনি তো কার্ডের বার্ষিক চার্জ এবং অন্যান্য ফি ইতিমধ্যেই জানেন। কিন্তু আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে ব্যাংকগুলো প্রায়ই বছরের শেষ দিকে এসে তাদের বার্ষিক ফি এবং অন্যান্য চার্জ স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে। আপনার ব্যাংকও এরকম কোন পরিবর্তন এনেছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে বার্ষিক ফি আর একবার জেনে নিন। অনেক সময় দেখা যায় কোন কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেন করলে সেই লেনদেনের কারণে বার্ষিক ফি মওকুফ করিয়ে নেয়া যায়। তো আপনি যদি নতুন পলিসি সম্পর্কে জেনে নেন তাহলে আপনার এই বছরের আর্থিক লেনদেনগুলো পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে।
রিওয়ার্ড পয়েন্ট চেক করুন
ক্রেডিট কার্ডের রিওয়ার্ড পয়েন্ট ব্যবহার করে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন, আপনি পয়েন্ট রিডিম করে কার্ডের ব্যালেন্স নিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন কেনাকাটার বিল পরিশোধ করতে পারেন। এমনকি কার্ডের বার্ষিক ফি’ও পে করতে পারেন রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে। কিছু কিছু ক্রেডিট কার্ডের রিওয়ার্ড পয়েন্ট নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালেন্ডার ইয়ার পর পর শেষ/মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। তাই চলতি বছর যাতে আপনার রিওয়ার্ড পয়েন্ট খোয়া না যায় তা যাচাই করে আগেই নিশ্চিত করুন।
কার্ডে ডলার এনডোর্সমেন্ট রিনিউ করে নেয়া (যদি দরকার হয়)
আপনি যদি একটি ডুয়াল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে আপনি সেই কার্ড দিয়ে বাংলাদেশের বাইরের বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটা করার সময় ডলার খরচ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সেই ডলার বছর ভিত্তিতে ব্যাংক থেকে পাসপোর্ট এর সাহায্যে এনডোর্স করে নিতে হয়। পাসপোর্ট দিয়ে ক্রেডিট কার্ড ডলার এনডোর্সমেন্ট সাধারণত এক বছরের জন্য করা হয়।
তবে আপনি চাইলে একাধিক বছরের জন্য এনডোর্সমেন্ট করতে পারেন। আপনার ক্রেডিট কার্ডে যদি শুধুমাত্র গত বছরের জন্য ডলার এনডোর্সমেন্ট করা থাকে তাহলে এই বছর আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ডলার খরচ করে কেনাকাটা করতে চাইলে নতুন করে পাসপোর্ট নিয়ে কার্ডে ডলার এনডোর্স করতে হবে। সুতরাং আপনি আগে থেকেই বছরের শুরুতেই আপনার ক্রেডিট কার্ডে ডলার এনডোর্সমেন্ট চেক করে নিন এবং প্রয়োজন হলে নতুন করে ব্যাংকের ব্রাঞ্চে গিয়ে এনডোর্স করে নিন
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
শুধু ডলার এনডোর্স করলেই হবে না। এনডোর্সমেন্ট চালু হলে আপনার ক্রেডিট কার্ডে যথেষ্ট ব্যালেন্স থাকতে হবে এবং আপনার ক্রেডিট কার্ড এর ফরেন গেটওয়ে লেনদেনের জন্য চালু থাকতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তারপরেই আপনি আপনার কার্ড দিয়ে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রার কেনাকাটা করতে পারবেন।
সুতরাং আপনি যদি একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং উপরের বিষয়গুলো আপনার জন্য প্রযোজ্য হয় তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব আপনার কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আপনার নতুন বছরটি শুভ হোক। আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন, ধন্যবাদ
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।