বর্তমান সময়ে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ব্যবহারের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম বর্ধিত রূপ হচ্ছে সৌরশক্তি। পৃথিবীর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩.৬% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় সৌর শক্তির মাধ্যমে। মহাকাশ সৌরশক্তি সম্পর্কে সর্বপ্রথম সাইন্স ফিকশন লেখক আইজাক আসিমভ ধারণা প্রদান করেন। তার এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি প্রথম নকশার ৫৫ বছর পর প্রথম সফল পরীক্ষা চালিয়ে মহাকাশ থেকে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ পৃথিবীতে সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রকল্পটির নাম ম্যাপল।
এই পরীক্ষাটি ক্যালটেকের স্পেস সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট এর অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি তারা একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তাদের সফল ট্রান্সমিশনের কথা জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা জানান তাঁদের মহাকাশে ভাসমান প্রোটোটাইপ স্পেস সোলার পাওয়ার ডেমনস্ট্রেটর বা এসএসপিডি-১ সূর্যালোক সংগ্রহ করে একে বিদ্যুতে রূপান্তর করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। এই এসএসপিডি-১ এ বছরের জানুয়ারি মাসে মহাশূন্যে প্রেরণ করা হয়।
ম্যাপেলের অ্যারে ট্রান্সমিটার গুলো প্যাসাডেনায় গর্দন এবং বেটি এন্ড মুরি ল্যাবরেটরী অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাদ এ অবস্থিত একটি রিসিভারে সফলভাবে সৌরশক্তি প্রেরণ করে। বৈদ্যুতিক ও চিকিৎসা প্রকৌশল বিষয়ক অধ্যাপক এবং স্পেস সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট এর সহ-পরিচালক আল হাজিমির জানান যে, “এখন পর্যন্ত তারা যতটুকু পরীক্ষা চালিয়েছেন তাতে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে ম্যাপেল দ্বারা খুব সহজে স্পেস থেকে শক্তি ট্রান্সমিট করা যাবে। এবং এতে থাকা সৌরশক্তি পৃথিবীর দিকে ট্রান্সমিট করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম তৈরি করা সম্ভব হয়েছ।”
তিনি আরো জানান যে, তাদের নিজেদের তৈরি করা সার্কিট এবং নমনীয় হালকা ওজনের কাঠামো ব্যবহার করে তারা এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তার জানামতে কেউ কখনো মহাকাশ থেকে তারহীন শক্তি স্থানান্তরের বিষয়টি দেখাতে পারেনি। এমনকি এ বিষয়ে অনেক খরুচে প্রকল্প থাকা স্বত্বেও তারা কখনো সফলতা লাভ করেনি।
দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ ভিত্তিক সৌরশক্তি নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে এটি খরচসাপেক্ষ হলেও সীমাহীন নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এই প্রযুক্তিতে যেখানে মহাকাশে থাকা বিভিন্ন সৌর প্যানেল দিনের যেকোনো সময় সূর্যালোক সংগ্রহ করতে পারে। মহাকাশ থেকে তার ছাড়াই সৌরশক্তি আনার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির মাত্রা বেড়ে যাবে। ক্যালটেকের ঘোষণার কয়েক দিন আগেই জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সা ২০২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ থেকে সৌরশক্তি পাঠানোর লক্ষ্যে এক ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে। প্রকল্পটির নেতৃত্বে আছেন জাপানের কিয়োটা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তিনি ২০০৯ সাল থেকে মহাকাশ ভিত্তিক সৌরশক্তি নিয়ে কাজ করছেন।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
যেহেতু বর্তমানে মানুষের সকল প্রকার শক্তির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে সেহেতু স্পেস থেকে সোলার পাওয়ার সংগ্রহ এবং বিতরণ মানুষের শক্তির চাহিদা মেটাবে। বিষয়টি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাতে পারবেন।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।