গত এক সপ্তাহে শর্ট ভিডিও প্লাটফর্ম টিকটক এর প্লে স্টোর রেটিং ৪.৬ স্টার থেকে ১.২ স্টারে নেমে এসেছে, সেটা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই অবগত আছি। চলুন জেনে নেয়া যাক, ২ বিলিয়নেরও অধিকবার ডাউনলোড হওয়া এই অ্যাপের রেটিং অদ্ভুতভাবে কমে যাওয়ার পেছনের কাহিনী।
টিকটক এর রেটিং নাটকীয়ভাবে কমে যাওয়ার মূল কারণ হল ভারতের ইউটিউবার এবং টিকটকারদের মধ্যে চলা “ইন্টারনেট যুদ্ধ”।
ইউটিউব কমিউনিটিতে টিকটক আগে থেকেই সমালোচিত। মুম্বাই এর টিকটক ক্রিয়েটর, আমির সিদ্দিকি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে ইউটিউবারদের তাদের কন্টেন্ট চুরির অভিযোগ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এই ভিডিও থেকেই শুরু হয় এই ইন্টারনেট যুদ্ধের মূল সূত্রপাত।
ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার অজয় নগর, যিনি মূলত ক্যারিমিনাটি নামে পরিচিত, এই ব্যাপারে রোস্টিং ভিডিও পোস্ট করার পর বিষয়টি আরো গুরুতর হয়ে উঠে। কয়েকদিনের মধ্যেই ভিডিওতে ৭০ মিলিয়নের উপরে ভিউ এবং ভারতের ইউটিউবে রেকর্ড সংখ্যক লাইক পড়ে। তবে বিপত্তি বাধে যখন ক্যারিমিনাটির পোস্ট করা রোস্টিং ভিডিও ইউটিউব কতৃপক্ষ অনলাইন হ্যারাসম্যান্ট পলিসি ভঙ্গ করার কারণ দেখিয়ে ডাউন করে দেয়। মনে করা হয়, টিকটক ভক্তদের রিপোর্টের কারণে ঐ ভিডিওটি মুছে ফেলেছে ইউটিউব।
এর ফলে ইউটিউব কমিউনিটি ক্ষুব্ধ হয়ে যায় এবং প্রতিবাদস্বরূপ টিকটক অ্যাপ এর প্লে স্টোর ভার্সনে ১স্টার রেটিং দিতে শুরু করে। এই পরিস্থিতির কারণে সপ্তাহের মধ্যেই ৪.৬ রেটিং এবং এডিটর’স চয়েজ এওয়ার্ড ট্যাগ থাকা টিকটক অ্যাপ এর রেটিং নেমে আসে ১.২ এ! এছাড়াও টুইটারে টিকটক ব্যান নিয়ে চালানো হচ্ছে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন। অ্যাপল অ্যাপ স্টোরেও টিকটকের আইফোন অ্যাপের রেটিং ৪.৫ স্টার থেকে ৩.৫ স্টারে নেমে যায়।
এছাড়া ফাইজাল সিদ্দিকি নামক আরেক টিকটকার সম্প্রতি টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন যেটি নিয়ে নারীদের প্রতি এসিড-সন্ত্রাসের মত ঘটনা উস্কে দেয়ার অভিযোগ উঠে। পরে ফাইজাল সিদ্দিকি নিজেই ঐ ভিডিওটি সরিয়ে নেন। কিন্তু বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে টিকটক কর্তৃপক্ষ ফাইজালের একাউন্ট সাস্পেন্ড করে দেয়। এই ঘটনা থেকেও টিকটক অ্যাপকে ১ স্টার রেটিং দেয়ার হিড়িক পড়ে।
সম্প্রতি নতুন গুগল একাউন্ট খুলে টিকটক অ্যাপকে ১ স্টার রেটিং দেওয়ার অভিযোগে প্রায় ১০ লক্ষেরও অধিক রেটিং সরিয়ে নেয়া হয় গুগল প্লে স্টোর থেকে। যার ফলে প্লে স্টোরে বর্তমানে টিকটক এর রেটিং ১.৬ এ অবস্থান করছে। আর বর্তমানে ভারতীয় অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে টিকটকের রেটিং ৩.৪ স্টারে আছে।
টিকটক আর ইউটিউবের এই ইন্টারনেট যুদ্ধ সম্পর্কে আপনার মতামত কী? আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনে!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।