শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করার সহজ উপায়

আচ্ছা, একটি নিরাপদ ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কীভাবে তৈরি করতে হয়? উত্তরঃ একদম সোজা। কয়েক সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে কিবোর্ডে কিছু একটা টাইপ করে সেটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে ফেলুন। কিন্তু এই পাসওয়ার্ডটি মনে রাখা আপনার জন্য সহজ নাও হতে পারে। ব্যাপারটা ভাবনার হলেও এটাও কিন্তু শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করার একটা উপায়। চলুন নিরাপদ পাসওয়ার্ড বানানো ও মনে রাখার আরো কিছু সহজ উপায় দেখে আসি।

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন

বড় এবং আজব সব পাসওয়ার্ড আপনাকে নিরাপদ রাখলেও সেগুলো মনে রাখাটা যন্ত্রণাদায়ক। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে এসেছে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। অনেক ধরনের পাসওয়ার্ড ম্যানেজার পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ফ্রি ভার্সন যেমন আছে তেমনি বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রিমিয়াম ভার্সনও কিনতে পারবেন। বর্তমানে লাস্টপাস আর ওয়ানপাসওয়ার্ড হলো জনপ্রিয় দুটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার। এগুলোর সুবিধা হল আপনি এই সার্ভিসগুলো বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ও ব্রাউজারে উপভোগ করতে পারবেন। এদের সার্ভারে পাসওয়ার্ড এনক্রিপ্টেড থাকে বলে আপাতদৃষ্টিতে কোন রিস্কও নেই। আর অটো ফিল সুবিধা তো থাকছেই।

দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে আবারো ভাবুন

অনেক বেশি ক্যারেক্টারের একটা পাসওয়ার্ড অন্য একটা সংক্ষিপ্ত পাসওয়ার্ডের চেয়ে শক্তিশালী এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে যেখানে একটা ১৬ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ডই যথেষ্ট সেখানে ৩০ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার দরকার নেই বললেই চলে। একগাদা স্পেশাল ক্যারেকটার ছাড়াও শুধুমাত্র বড়হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করে তৈরি ১৬ ক্যারেকটারের একটা র্যান্ডম পাসওয়ার্ড ব্রুট ফোর্স এটাক ভালভাবেই প্রতিরোধ করতে পারে।

অযথা কতগুলো স্পেশাল ক্যারেকটারের প্রয়োজন নেই

ইতোমধ্যে আপনি জেনে গিয়েছেন যে স্পেশাল ক্যারেকটার খুব বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার দিয়ে পাসওয়ার্ড জেনারেট করার সময় তাই আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন যে আপনার পাসওয়ার্ডে শুধু কী কী টাইপের ক্যারেকটার ব্যবহৃত হবে। প্রায় সব পাসওয়ার্ড ম্যানেজারেই এই  ফিচার রয়েছে।

ব্যবহার করতে পারেন “পাসফ্রেইজ”

এটা অনেকটা নতুন কিন্তু খুব কার্যকরী ট্রেন্ড। কারণ একদিকে পাসফ্রেইজ যেমন সহজে মনে রাখা যায় অন্যদিকে এগুলো হ্যাকাররা গেজও করতে পারেনা। আর ব্রুটফোর্স এটাক দিয়েও এইসব পাসওয়ার্ড ভাঙ্গা যায় না। যেমন ধরুন আপনি আপনার পাসওয়ার্ড আপনার ব্যবহৃত ফোনের নাম, উদাহরণস্বরূপ, Samsung1234 দিলেন। এটা হ্যাকাররা সহজে অনুমানও করতে পারবে আবার ব্রুটফোর্স এটাকের ক্ষেত্রেও এটা দুর্বল। কিন্তু আপনি যদি এর বদলে পাসফ্রেইজ যেমন “IHaveASamsungPhoneAndILoveIt” ব্যবহার করেন (ছোটহাত-বড়হাত মিলিয়ে) তাহলে এটা হ্যাকারদের গেজ করতেও অনেক অসুবিধা হবে আবার অন্যদিকে আপনি কোন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ছাড়াই সহজে মনে রাখতে পারবেন।

এছাড়া আপনি বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহারের জন্য নিজের মত কিছু নিয়ম কানুন বা ফরম্যাট তৈরি করতে পারেন যাতে একটা সাইটের পাসওয়ার্ড মনে রাখলে বাকিগুলো অটোমেটিক মনে চলে আসে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *