অনলাইনে ব্যবসা, কেনাকাটা, ফ্রিল্যান্সিং বা চাকুরী- যাই করুন না কেন, পেপাল সব ক্ষেত্রেই অন্যতম দরকারী একটা সার্ভিস। অনলাইনে অর্থ লেনদেন ও পেমেন্টের জন্য পেপালের জনপ্রিয়তার কথা বলাই বাহুল্য। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত পেপাল একাউন্ট খোলা সম্ভব না। কারন পেপাল এখনও বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি, আর কবে করবে কিংবা আদৌ করবে কিনা তাও নিশ্চিত না।
কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশের কেউ কেউ একটু কৌশল খাটিয়ে অন্য দেশের ঠিকানা ব্যবহার করে পেপাল একাউন্ট খুলে থাকেন। অন্তত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এমনটিই জানা যায়। এজন্য সাধারণত অন্য আরেকটি অনলাইন মানি ট্র্যান্সফার সার্ভিসের কিছু ফিচার ব্যবহার করা হয়।
পেওনিয়ার হচ্ছে বিশ্বের আরেকটি বহুল জনপ্রিয় অনলাইন অর্থ আদানপ্রদানের মাধ্যম। এখানে একাউন্ট খুললে ব্যবহারকারীকে একটি ভার্চুয়াল অ্যামেরিকান ব্যাংক একাউন্ট দেয়া হয়। আরও থাকে ইউরোপীয় ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্ট এবং একটি মাস্টারকার্ড ডেবিট কার্ড।
পেওনিয়ারে একাউন্ট খুলতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন, আর ২৫ ডলার বোনাস নিন
পেপালে একাউন্ট খোলার পর সেটি ভালোভাবে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ইউজারের নিজের নামে তৈরি ব্যাংক একাউন্ট ও ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড পেপাল একাউন্টে সংযুক্ত করার দরকার হয়। একে “পেপাল ভেরিফিকেশন” বলে। এজন্য অনেকেই পেওনিয়ারের দেয়া ভার্চুয়াল অ্যামেরিকান ব্যাংক একাউন্ট ও মাস্টারকার্ড তাদের পেপালে যুক্ত করে পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত অ্যামেরিকান কোনো ঠিকানা ব্যবহার করে পেপাল একাউন্টটি ওপেন করা থাকে।
যেসব দেশে পেপ্যাল সাপোর্ট নেই সেখানকার অনলাইন প্রফেশনের লোকজন এই পদ্ধতিতে বহুদিন ধরেই পেপাল ও পেওনিয়ার সংযুক্ত করে ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু মাঝে মাঝে পেপাল পেওনিয়ারের ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্ট সাপোর্ট করেনা। অপরদিকে পেওনিয়ারের দিক থেকেও কখনো কখনো সমস্যার কথা বলেছেন গ্রাহকরা।
এতকিছুর পরেও আপনি যদি সফলভাবে আপনার পেপাল একাউন্টে পেওনিয়ার ব্যাংক ও কার্ড যুক্ত করে থাকেন, তাহলে এখন থেকে আপনাকে সাবধানী হতে হবে। দৃশ্যত, পেওনিয়ার তাদের ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্টে কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর ফলে এখন থেকে আপনি পেওনিয়ারের এই ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্টে বাইরে থেকে ডলার বা অর্থ আনতে পারবেন, তবে এই ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্ট থেকে (পেপালের মাধ্যমে) আউটগোয়িং ট্র্যান্সফার করতে পারবেন না।
👉 পেপাল কি? পেপাল এর সুবিধা কি?
আরেকটু পরিষ্কার করে বলি, আপনার পেপালের সাথে যদি পেওনিয়ার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত থাকে, তাহলে এতদিন আপনি পেপালে ব্যাল্যান্স না থাকলেও পেপাল দিয়ে কেনাকাটা করার সময় পেওনিয়ারের ব্যালান্স ব্যবহার করতে পারতেন। এখন যদি আপনি পেপাল দিয়ে পেওনিয়ার থেকে ডলার খরচ করতে চান, তবে সেটি পেওনিয়ারের ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্টের জন্য আউটগোয়িং ট্র্যান্সফার বলে বিবেচিত হবে, যা দৃশ্যত পেওনিয়ার আর সাপোর্ট করছেনা। এমতাবস্থায় পেপালের মাধ্যমে পেওনিয়ারের ব্যাল্যান্স ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
অন্যথায়, পেপাল যখনই টের পাবে যে আপনার পেপাল একাউন্টে যুক্ত করা ব্যাংক একাউন্ট থেকে পেপাল আর অর্থ নেয়ার অ্যাক্সেস পাচ্ছেনা, তখনই আপনার ভার্চুয়াল ব্যাংক একাউন্ট আপনার পেপাল একাউন্ট থেকে মুছে যাবে। ফলে আপনার পেপালের ভেরিফাইড স্ট্যাটাস আর থাকবেনা- এটি আনভেরিফাইড হয়ে যাবে। এতে করে পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়বে।
সবচেয়ে ভালো হয় পেওনিয়ারযুক্ত পেপালের মাধ্যমে শুধুমাত্র পেপালের ব্যাল্যান্স ব্যবহার করা, যাতে এটি পেওনিয়ারের ব্যাংক একাউন্টের সাথে ট্র্যাঞ্জেকশন করার প্রয়োজনবোধ না করে। ফলে আপনার পেপাল একাউন্ট ভেরিফাইড স্ট্যাটাস হারানোর ঝুঁকি থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবে। আর ভবিষ্যতে হয়ত পেওনিয়ার আবারও দয়াপরবশ হয়ে পেপালের সাথে ভার্চুয়াল ব্যাংকের আউটগোয়িং ট্র্যাঞ্জেকশন অ্যালাউ করবে। তখন আবার খুশিমনে পেওনিয়ারের ব্যাল্যান্স পেপাল থেকে ব্যবহার করা যাবে :)
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।