অ্যাপল এর আইক্লাউড হলো একটি অনলাইন ফাইল স্টোরেজ ও ডিজিটাল সার্ভিস। আইক্লাউড ব্যবহার করে ফাইল সংরক্ষণ করা, শেয়ার করা, হারানো ডিভাইস খুঁজে পাওয়া ও বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে তথ্য সিন্ক্রোনাইজ এর মত বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়।
অ্যাপল আইক্লাউড বিভিন্ন ধরনের ফিচারে সমৃদ্ধ। আইক্লাউড ড্রাইভ, আইক্লাইড স্টোরেজ প্ল্যানস (বাড়তি স্টোরেজ), আইক্লাইড ফটো লাইব্রেরী (ক্লাউড ভিত্তিক ফটো স্টোরেজ), আইক্লাউড ফাইন্ড মাই ডিভাইস, ফ্যামিলি শেয়ারিং (অ্যাকাউন্ট ও রিসোর্স শেয়ারিং), সাফারি ও আইক্লাউড কিচেইন, ইত্যাদি আইক্লাউড এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচার।
আইক্লাউড অ্যাপল ডিভাইসের ফিচারের মধ্যে দেয়া থাকে যেখানে অ্যাপল আইডি দিয়ে সাইন ইন করতে হয়। এছাড়া www.icloud.com সাইট ভিজিট করেও এর বিভিন্ন সেবা উপভোগ করা যায়। আইক্লাউড সম্পর্কে এই পোস্টে আমরা জানবোঃ
- আইক্লাউড কি
- আইক্লাউড কেন গুরুত্বপূর্ণ
- আইক্লাউড এর সুবিধাসমূহ
- আইক্লাউড কিভাবে পাওয়া যায়
- আইক্লাউড এর দাম
আইক্লাউড কি? – What is iCloud?
আইক্লাউড হলো অ্যাপল এর একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীগণ বিভিন্ন ধরনের ফাইল বা তথ্য সংরক্ষণ, দেখা, সম্পাদনা, এমনকি শেয়ারও করতে পারেন। অর্থাৎ আইক্লাউড ব্যবহার করে ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন, ছবি, ভিডিও, গান, ইমেইল থেকে শুরু করে মোটামুটি যেকোনো ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করা যায়।
আইক্লাউড এ রক্ষিত ফাইলসমূহ আইক্লাউড সিনক্রোনাইজ এর মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস ও প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যাকসেস করা যায়। এমনকি আইক্লাউড ব্যবহার করে হারানো ডিভাইস পর্যন্ত খুঁজে বের করা সম্ভব।
এছাড়াও iCloud এর মাধ্যমে ওয়েব সার্ফিং স্ট্যাটাস সকল অথোরাইজড ডিভাইসের মধ্যে শেয়ার করা যায়। অর্থাৎ আপনার আইফোনের ব্রাউজারে যেসব সাইট ভিজিট করবেন, আপনার আইপ্যাড কিংবা ম্যাক থেকেও ফোনের ওয়েব সার্ফিং স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে সেসব সাইটে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন।
আইক্লাউড এর এমন সুবিধার ফলে অ্যাপল ডিভাইসমুহের মধ্যে কিচেইন শেয়ারিং সম্ভব হয়েছে। এর ফলে ডিভাইসসমুহের মধ্যে একই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড সমূহ আপডেটেড থাকে। এর ফলে থার্ড পার্টি কোনো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার দরকার হয়না।
পাসওয়ার্ড ও অ্যাপ এর পাশাপাশি ইমেইল, ক্যালেন্ডার, কন্টাক্টস, রিমাইন্ডারস, এমনকি নোটসমূহ সিন্ক্রোনাইজ হয় iCloud এর মাধ্যমে৷ অর্থাৎ আপনার সকল অ্যাপল ডিভাইসে একই iCloud অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলে সব ডিভাইসে একই ফাইল ও তথ্য অ্যাকসেস করতে পারবেন। পরে ডিভাইস সুইচ করলে আপনার একই আইক্লাউড একাউন্টে সাইন ইন করলে তথ্যগুলো সিনক্রোনাইজ করতে পারবেন।
আইক্লাউড কেনো গুরুত্বপূর্ণ
কর্পোরেট হোক কিংবা দৈনন্দিন জীবনের প্রযুক্তি, উভয় ক্ষেত্রেই ক্লাউড কম্পিউটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আইক্লাইড এর ফাইল স্টোরেজ ও সিন্ক্রোনাইজ সুবিধার ফলে ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে জমা রাখা বা শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে।
অনেক ক্রিয়েটিভ স্যুট টুলস থেকে শুরু করে সাধারণ অফিস প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ্লিকেশনসমুহের লাইসেন্স ম্যানেজ করা সহজ হয় ক্লাউড সাবস্ক্রিপশনের ফলে। আইক্লাইড এর বহুবিধ সুবিধার ফলে অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারকারীগণ তাদের সকল অ্যাপল ডিভাইসে একটি নিরবিচ্ছিন্ন ইকোসিস্টেম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
বহুল জনপ্রিয় এই অ্যাপল ইকোসিস্টেম এর পেছনে আইক্লাউড মূল ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ অ্যাপল এর আইক্লাউড সার্ভিস আছে বলেই সকল অ্যাপল ডিভাইসে ফাইল ও তথ্যসমুহ কানেক্টেড রাখা সহজ হয়।
আইক্লাউড এর সুবিধাসমুহ
ক্লাউড ভিত্তিক স্টোরেজ সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের আরো বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে অ্যাপল এর আইক্লাউড। এছাড়াও সিরি ও ভাষা অনুবাদ এর রিকুয়েস্টও প্রসেস হয় আইক্লাউড এর মাধ্যমে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আইক্লাউড এর প্রধান সুবিধাসমুহ, অর্থাৎ আইক্লাউড এর ফিচারসমুহ সম্পর্কে।
আইক্লাউড ফটোস
আইক্লাউড ফটোস ব্যবহার করে আপনি আপনার আইফোনে তোলা সকল ছবি ও ভিডিও অনলাইন জমা করে রাখতে পারেন। আইক্লাউডে জমা থাকা ছবি কোনো কম্প্রেশন ছাড়াই আসল রেজ্যুলিউশনে সেভ করা থাকে। এছাড়াও iCloud এ সংরক্ষিত ফটোসমুহ ওয়েব ব্রাউজারে দেখা যায় ও লিংক ব্যবহার করে অন্যদের সাথে শেয়ার ও করা যায়।
অ্যাপল এর আইক্লাউড ফটোস সুবিধার ফলে যেসব ব্যবহারকারীর ফোনের স্টোরেজ যথেষ্ট নয়, তারা তাদের পছন্দের ছবি বা ভিডিও ক্লাউডে জমা রাখতে পারে। আইক্লাউড ফটোসে আইফোনে তোলা যায় এমন যেকোনো ধরনের ফটো ও ভিডিও ফরম্যাট জমা রাখা যায়। এছাড়া আইক্লাউডে সংযুক্ত অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইসে তোলা বা সংরক্ষিত মিডিয়া ফাইলও আইক্লাউডে সিনক্রোনাইজ করা যায়।
আইক্লাউড ড্রাইভ
ফাইল বা ডকুমেন্ট জমা রাখার অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস হলো iCloud ড্রাইভ। আইক্লাউড ড্রাইভে আপলোড করার পর আপলোডকৃত ফাইল অথোরাইজড ডিভাইসসমূহে ব্যবহারীগণ দেখতে বা ডাউনলোড করতে পারবেন। এর ফলে যেকোনো ডকুমেন্ট বা ফাইল এডিট এর কাজ এক ডিভাইসে শুরু করলেও অন্য ডিভাইসে কাজ করা যায়।
ম্যাক বা কম্পিউটারে আইক্লাউড ড্রাইভ ফাইলসমুহ সহজে স্টোর বা মুভ যায় এমন সাধারণ ফোল্ডার রূপে দেখা যায়। আইক্লাউডে সংরক্ষিত ফাইল ও ফোল্ডারসমুহ যেকোনো ওয়েব ব্রাউজার থেকে অ্যাকসেস করা যায়। এছাড়াও আইক্লাউড ড্রাইভে থাকা ফাইল ও ফোল্ডার অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায়।
আরো জানুনঃ আইফোন এর স্টোরেজ খালি করার উপায়
আরো জানুনঃ আইফোন আইক্লাউড লক খোলার উপায়
আইফোন ও আইপ্যাড এর ক্ষেত্রে ফাইলস অ্যাপের মাধ্যমে আইক্লাউড ড্রাইভে থাকা ফাইলসমুহ দেখা, এডিট বা ডিলিট করা যায়। (ফাইলস অ্যাপ ব্যবহার করে ফোনে লোকালি সংরক্ষিত ফাইলসমুহও দেখা যায়। এছাড়াও বক্স, ড্রপবক্স ও ওয়ানড্রাইভ এর মত ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসসমুহে সংরক্ষিত ফাইলসমুহ ফাইলস অ্যাপ এর মাধ্যমে অ্যাকসেস করা যায়।)
ফাইন্ড মাই
কোনো অ্যাপল ডিভাইস হারিয়ে গেলে বা খুঁজে না পেলে “ফাইন্ড মাই” ফিচার এর মাধ্যমে খুঁজে বের করা যায়। অ্যাপল এর এই ফাইন্ড মাই ফিচার কিন্তু আইক্লাউড এর কল্যাণেই কাজ করে। এই ফিচার ব্যবহারকারীদের ম্যাপে থাকা তাদের বন্ধু ও অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইসসমুহের অবস্থান জানতে সাহায্য করে।
ফাইন্ড মাই ফিচারটি “পিপল” ও “ডিভাইসেস” – এই দুইটি ভাগে বিভক্ত। পিপল ফাংশনের মাধ্যমে পরিবার বা বন্ধুদের শেয়ার করা লোকেশন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেখা যায়। অন্যদিকে ডিভাইসেস ফাংশনের মাধ্যমে আইফোন, আইপ্যাড, অ্যাপল ওয়াচ, আইপ্যাড, ম্যাক সহ সকল অ্যাপল প্রোডাক্ট খুঁজে না পেলে বা হারিয়ে গেলে তার সর্বশেষ রিপোর্টেড অবস্থান জানা যায়।
👉 হারানো আইফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
সিন্ক বা সিনক্রোনাইজ
আমরা ইতোমধ্যে iCloud এর সিন্ক্রোনাইজেশন ফিচার এর ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। সিন্ক (সংক্ষেপে Sync) ফিচার চালু করলে একই একাউন্টে লগিন থাকা সকল ডিভাইসে কন্টাক্ট, ক্যালেন্ডার, নোট, রিমাইন্ডার, ইত্যাদি আপডেটেড থাকে।
আইক্লাউড কিচেইন এর মাধ্যমে পাসওয়ার্ডও ডিভাইসসমুহের মধ্যে সিন্ক্রোনাইজড রাখা যায়। এছাড়াও ফোনের মেসেজসমূহ একাধিক ডিভাইসে সিন্ক করা যায় iCloud ব্যবহার করে। এই ক্ষেত্রে যেকোনো এক ডিভাইসে কোনো মেসেজ ডিলেট করলে প্রত্যেকটি ডিভাইসেই একই ব্যাপারটি ঘটবে।
ব্যাকাপ
ম্যাক বা কম্পিউটার ব্যবহার করে আইফোন, আইপ্যাড বা আইপড টাচ এর ব্যাকাপ নেওয়া যায় – এই ব্যাপারটি আমাদের সকলের জানা। তবে চাইলে আইক্লাউডের মাধ্যমেও ব্যাকাপ নেওয়া সম্ভব। iCloud ব্যাকাপ সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ ডাটা অনলাইন ব্যাকাপ রাখা যায়। পরবর্তীতে প্রয়োজনে এই ব্যাকাপ ডাউনলোড ও রিস্টোর করা যায়।
আরো জানুনঃ আনঅফিসিয়াল ফোন যাচাই ও নিবন্ধন করার নিয়ম
আইক্লাউড এর মাধ্যমে ডিভাইস এর ব্যাকাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক সেটিংস ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ দৈনিক একবার বা সাপ্তাহিক একবার ব্যাকাপের শিডিউল সেট করা যায়। আবার চাইলে ফোন ওয়াইফাইয়ে কানেক্ট হলে আপনাআপনি ব্যাকাপ নিবে, এমন সেটিং ও করা যায়।
আইক্লাউড ব্যাকাপ ব্যবহার করে যেসব ডাটা ব্যাকাপ নেওয়া যাবেঃ
- অ্যাপ ডাটা
- অ্যাপল ওয়াচ ব্যাকাপ
- ডিভাইস সেটিংস
- হোম স্ক্রিন ও অ্যাপ অরগানাইজেশান
- আইমেসেজ, টেক্সট ও এমএমএস মেসেজ
- ফটো ও ভিডিও
- অ্যাপল সার্ভিস পারচেজ হিস্টোরি
- রিংটোন
- পাসওয়ার্ড, ইত্যাদি
একই ডাটা যাতে একাধিকবার ব্যাকাপে সেভ হয়ে আইক্লাউডের স্টোরেজ ভর্তি না করে, তার খেয়াল ও রাখে iCloud। এই নিয়ম মেসেজ, কন্টাক্ট, ফটো, ক্যালেন্ডার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও ভয়েস মেমো এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে হেলথ ডাটা, কল হিস্টোরি বা আইক্লাউড ড্রাইভে থাকা ফাইলসমুহের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
আরো জানুনঃ আইফোন ১৩ সিরিজের দারুণ ফিচারগুলো জেনে নিন
ফ্যামিলি শেয়ারিং
৬ জন পর্যন্ত অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারকারী একই গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন, অ্যাপল যার নাম দিয়েছে “ফ্যামিলি”। অর্থাৎ এই ফিচার মূলত পরিবারকে লক্ষ্য করে বানানো।
এই ফিচারটির মাধ্যমে ফ্যামিলিতে যুক্ত থাকা সকলেই তাদের আইটিউনস বা অ্যাপ স্টোরে কেনা আইটেমসমুহ শেয়ার করতে পারে। অর্থাৎ ফ্যামিলির কেউ যদি একটি অ্যাপ বা রিংটোন ক্রয় করেন, তবে ফ্যামিলিতে যুক্ত থাকা সবাই ওই ক্রয়কৃত অ্যাপ বা রিংটোন ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়াও ফ্যামিলি শেয়ারিং এর মাধ্যমে লোকেশন শেয়ারিং বা স্ক্রিন টাইম এর মত তথ্য শেয়ার করা যায়। ফ্যামিলি শেয়ারিং এর মাধ্যমে যুক্ত থাকা সকল তথ্য এনক্রিপটেড থাকে। শুধুমাত্র ফ্যামিলি অরগানাইজার ও ফ্যামিলিতে থাকা ব্যাক্তিগণ এসব তথ্য দেখতে পারেন।
আইক্লাউড কিভাবে পাওয়া যায়?
Apple ID একাউন্ট খুললে অ্যাপল আইডির মাধ্যমে আইক্লাউড সেবা পাওয়া যায়। আইক্লাউড এ কেনাকাটা করার জন্য অ্যাপল এর গিফট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। দারাজ ডটকম এবং আরো কিছু মার্কেটপ্লেসে অ্যাপল গিফট কার্ড কেনা যায়। এছাড়া আপনি চাইলে সরাসরি অ্যাপল ওয়েবসাইট থেকেও আইক্লাউড বা আইটিউন্স গিফট কার্ড কিনতে পারেন এবং iCloud স্টোরেজ কেনার জন্য সেই কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
এব্যাপারে সহায়তা দরকার হলে আপনি যেখান থেকে অ্যাপল ডিভাইস (আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক প্রভৃতি) কিনবেন/কিনেছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আইক্লাউড এর দাম
প্রতিটি অ্যাপল অ্যাকাউন্ট বা অ্যাপল আইডির সাথে ৫জিবি আইক্লাউড স্টোরেজ ফ্রিতে প্রদান করে অ্যাপল। তবে এতো কম স্টোরেজ কিছু ফটো বা ভিডিও রাখলেই পূর্ণ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে স্টোরেজ কেনার সুবিধা প্রদান করে iCloud।
আরো জানুনঃ আইওএস ১৫ এর নতুন ফিচারসমুহ
ফ্রি আইক্লাইড স্টোরেজ কম হওয়ায় ফটো বা ভিডিও স্টোর করার ক্ষেত্রে এই ৫জিবি আইক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার না করাই ভালো। বরং কন্টাক্টস, নোটস বা ক্যালেন্ডার, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সিন্ক করা উত্তম এই ফ্রি স্টোরেজ ব্যবহার করে।
আপনি যদি ফটো ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস হিসেনে গুগল ফটোস বা এই ধরনের কোনো সার্ভিস ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে খুবই কম খরচে আইক্লাউড এর স্টোরেজ কিনতে পারেন। ইউএস একাউন্টের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে মাত্র ১ মার্কিন ডলার এর বিনিময়ে ৫০জিবি আইক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়াও আরো দুইটি স্টোরেজ প্ল্যান অফার করছে অ্যাপল, যার মধ্যে দুইটিই ফ্যামিলি শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে যুক্ত রয়েছে। প্রতি মাসে ২.৯৯মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে ২০০জিবি আইক্লাউড স্টোরেজ।
যাদের অনেক বেশি ফাইল অনলাইনে জমা রাখতে হয় বা ফ্যামিলি মেম্বাররা বেশি স্টোরেজ চান, তাদের জন্য রয়েছে ২টেরাবাইট iCloud স্টোরেজ কেনার সুবিধা। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৯.৯৯ডলার ফি গুণতে হবে।
👉 গুগল ড্রাইভ কি ও কিভাবে ব্যবহার করব?
অ্যাপল ওয়ান এর সাবস্ক্রাইবারগণ এই ২টেরাবাইট এর লিমিট অতিক্রম করে ৪টিবি পর্যন্ত iCloud স্টোরেজ নিতে পারবেন। বাড়তি এই স্টোরেজের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফি চার্জ করে অ্যাপল।
এছাড়াও ২০২১ সালে আইক্লাউড+ নামে একটি নতুন ফিচার নিয়ে আসে অ্যাপল। এই সার্ভিসের মাধ্যমে পেইড স্টোরেজ এর ক্ষেত্রে আরো বেশি স্টোরেজ বা অ্যাপল ওয়ান সাবস্ক্রিপশন এর ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। আইক্লাউড প্রাইভেট রিলে, হাইড মাই ইমেইল, আনলিমিটেড হোমকিট সিকিউর ভিডিও ক্যামেরা ও কাস্টম ইমেইল ডোমেইন এর মত সেবা পাওয়া যাবে আইক্লাউড+ এর মাধ্যমে।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।