এবার দেশি পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করলেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীরা

PM and Maksud in press eventতোষা পাটের জিনোম সিকোয়েন্স বা জীবন রহস্য আবিষ্কারের পর এবার দেশি পাটের জিনোম সিকোয়েন্সও আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীরা। রোববার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই তথ্য প্রকাশ করেন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তোষা পাটের সঙ্গে দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনের কাজও আমাদের বিজ্ঞানীরা শেষ করেছেন। পাটের জিনোমের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখন আমাদেরই হাতে; এটা বাংলাদেশের সম্পদ। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাই এটা আবিস্কার করেছেন।”

এই গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশী বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমও ঐ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।  বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের ‘বেসিক অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড রিসার্চ অন জুট’ প্রকল্পের ‘প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর’ হিসেবে কাজ করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাকসুদুল আলম বলেন, “এখন বিশ্বে যেখানে পাট নিয়ে যে গবেষণাই হোক, কেউ আর আমাদের ইগনোর করতে পারবে না। পাটের সমস্ত রহস্য এখন আমাদের হাতে।”

“দেশের সর্বস্তরের সব মানুষ আমাদের যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিয়েছে, আমরা তা জাতিকে গবেষণার ফলাফলের মাধ্যমে ফেরত দিতে চাই”- মাকসুদুল আলম

পাটের জীবন রহস্য জানার ফলে এখন পাটের ভাল ও খারাপ বৈশিষ্টের জন্য দায়ী জিনগুলো চিহ্নিত করা যাবে এবং নতুন জাত তৈরির মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা যাবে।

বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম বলেছেন, গবেষণার ফাইন্ডিংস ব্যবহার করে আগামী ৫ বছরের মধ্যে নতুন জাতের পাট মাঠে আসবে।

গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে পাঁচটি গবেষণা ফলাফলের পেটেন্টের জন্য বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার নিকট আবেদন করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হচ্ছেঃ

১. পাটের তন্তুর কার্যকারিতা

২. বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী উৎসেচক

৩. লিগনিন হ্রাসকারী জিন

৪. সেলুলোজ বা হেমিসেলুলোজ হ্রাসকারী উৎসেচক

৫. প্যাকটিন হ্রাসকারী উৎসেচক

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,550 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *