জীবনের স্বাদ ও ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা বিনষ্ট করছে ফেসবুক?

ফেসবুক ব্যবহার করলে তা তরুণ সমাজের মধ্য থেকে ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা ও জীবনের স্বাদ-অনুভূতি কমিয়ে দিতে পারে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এই সাইটটি ব্রাউজের পর লোকজন অধিকতর মন্দ বোধ করে। দুই সপ্তাহ যাবত একদল ফেসবুকারের ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর ঐ রিসার্স টিম এরকমই উপসংহার টেনেছেন।

বর্তমানে ফেসবুকের ১ বিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন এবং এদের অর্ধেকই প্রায় প্রতিদিন সাইটটিতে লগইন করেন।

ফেসবুক ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে কোন নেতিবাচক মন্তব্য এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি গবেষণা এরকমই ফলাফল প্রদান করেছে। অবশ্য এমনও অনেক জরিপ আছে যেগুলো ফেসবুকের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে।

আলোচ্য গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের মোবাইলে প্রশ্ন এবং সার্ভের লিংক সহ পাঁচটি এসএমএস আসত। প্রশ্নগুলো ছিল এরকম,

  • ১. গতদিনের সার্ভে থেকে এ পর্যন্ত তিনি কতক্ষণ সময় ফেসবুকে ছিলেন?
  • ২. ঐসময় অংশগ্রহণকারী কতটা একাকীত্ব বোধ করছিলেন?
  • ৩. তারা কতটা চিন্তিত ছিলেন?
  • ৪. তারা কেমন বোধ করছিলেন?
  • ৫. এসব ফেসবুক ব্যবহারকারী চারপাশের অন্যান্য লোকজনের সাথে (ফোনে বা সামনাসামনি) কতটা যোগাযোগ রাখেন?

গবেষকরা বলছেন, ফলাফলে দেখা গেছে যে যত বেশি ফেসবুক ব্যাবহার করেছেন তিনি তত বেশি হতাশ/একাকী/মন্দ বোধ করেছেন। ঐ সার্ভেতে মোট ৮২ জন লোক অংশ নিয়েছিলেন।

এদের মধ্য থেকে প্রায় সবাই বলেছেন যে তারা বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেন। ২৩% অংশগ্রহণকারী বলেছেন তারা নতুন লোকজনের সাথে পরিচিত হতে ফেসবুকে এসেছেন। তিন-চতুর্থাংশের বেশি লোকজন ফেসবুকে ভাল বিষয়বস্তু শেয়ার করেন বলে জানিয়েছেন, অপরদিকে প্রায় ৩৬% বলেছেন- তারা ফেসবুক ওয়ালে খারাপ কনটেন্টও শেয়ার করেন।

ফেসবুক ব্যবহার করে আপনার মধ্যে এরকম কোন পরিবর্তন এসেছে কি?

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *