ফোনে ই-সিম সাপোর্ট ছাড়াই যেভাবে চালানো যাবে ই-সিম

আপনার ফোন ই-সিম সাপোর্ট না করলেও ই-সিম কি সে সম্পর্কে আপনি ইতিমধ্যে জেনে থাকবেন। ই-সিম হলো ফোনে বিল্ট-ইন থাকা একটি ডায়নামিক সিম কার্ড যা একাধিক অপারেটর নেটওয়ার্কে কাজ করে। সিম ক্যারিয়ার পরিবর্তনের সময় প্লাস্টিক কার্ড বদলানোর বিষয়টিতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ই-সিম। অপারেটর সুইচ করার জন্য অ্যাপ ইন্সটল করার মত সহজ কাজ করতে হয় ই-সিম এর ক্ষেত্রে।

ই-সিম মূলত প্ল্যান নির্ভর। অর্থাৎ সাধারণ সিম এর ক্ষেত্রে একটি অপারেটরের কাছ থেকে বিভিন্ন প্যাকেজ উপভোগ করা যায়, আর ই-সিম এর ক্ষেত্রে সিম পরিবর্তন না করেও নেটওয়ার্ক ও প্ল্যান পরিবর্তন করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি একটি কিউ আর কোড স্ক্যান করেই পেতে পারেন নতুন মোবাইল সংযোগ। কিন্তু বর্তমানে বাজারে থাকা অধিকাংশ ফোনেই ই-সিম সাপোর্ট নেই। ফলে ইসিমের সুবিধা অনেকেই উপভোগ করতে পারছেন না।

তবে সুখবর হচ্ছে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ই-সিম সাপোর্ট না করলেও একটি কোম্পানি এমন এক সিম তৈরী করেছে যা সাধারণ সিমের মাধ্যমে ই-সিম এর সুবিধাসমূহ প্রদান করবে। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও এটাই হচ্ছে চমক। চলুন জেনে নেওয়া যাক সাপোর্ট না থাকলেও মোবাইলে চালানো যাবে এমন ই-সিম সম্পর্কে।

কিভাবে কাজ করে

eSIM.me নামে একটি প্রতিষ্ঠান ইসিম-ভিত্তিক হার্ডওয়্যার সিম কার্ড তৈরী করেছে যা ই-সিম সাপোর্ট করেনা এমন মোবাইলেও ই-সিম এর সুবিধাগুলো ব্যবহারের সুযোগ করে দিবে। তবে বিল্ট-ইন ই-সিম এর মত এই সিম এতো বেশি সুবিধা পাওয়া যাবেনা। কিন্তু আপনি এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল সিম ব্যবহার করতে পারবেন।

যেকোনো সিম এর মত eSIM.me এর সিমগুলোতেও একটি ফাংশনাল ছোট কম্পিউটার রয়েছে। মূলত সাধারণ সিম কার্ডের সাথে ই-সিম এর পার্থক্য এখানে। ই-সিম এর এই হার্ডওয়্যারে একটি ই-সিম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সকল প্রোগ্রাম সেভ করা থাকে। মূলত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সিম এর সকল সুবিধা প্রদান করে থাকে ই-সিম।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে কিছু এপিআই (API) দ্বারা সাধারন সিমকে ই-সিমে রুপান্তর করেছে eSIM.me প্রতিষ্ঠানটি। এটি সরাসরি গুগল এন্ড্রয়েডের সিম ম্যানেজার দ্বারা ম্যানেজ না করা গেলেও উক্ত কোম্পানির অ্যাপ দ্বারা খুব সহজে এই ই-সিম ম্যানেজ করা যাবে।

আইফোনে এই ফিচার ব্যবহার না করা গেলেও প্রায় সকল অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই সিম ব্যবহার করে ই-সিম সুবিধা উপভোগ করা যাবে। অর্থাৎ বর্তমানে শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই সুবিধা উপভোগ করা যাবে। ডুয়াল-সিম কনফিগারেশনে ব্যবহার করা গেলেও ডিভাইসের লিমিটেশনের উপর ফিচার নির্ভর করবে।

eSIM.me যেকোনো আধুনিক এন্ড্রয়েড ডিভাউসে কাজ করে ও অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই বা তার চেয়ে আপগ্রেডেড যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনে ব্যবহার করা যাবে। ই-সিম ব্যবহার করা বেশ সহজ। আপনার ক্যারিয়ার যদি ই-সিম সাপোর্ট করে, তবে বেশ সহজে এই সিম এর সাহায্যে ই-সিম এর সুবিধা উপভোগ করা যাবে।

ভিডিওঃ গ্রামীণফোন ই-সিম সম্পর্কে যেসব তথ্য আপনার জানা দরকার

👉 ই-সিম কিভাবে কাজ করে? বিস্তারিত জানুন

দাম

ই-সিম সবার দরকার হয়না, খুব বেশি দরকার না হলে eSIM.me থেকে এই সিম কেনার প্রয়োজন পড়বেনা অধিকাংশ ব্যবহারকারীর। তবে দাম এর ব্যাপারটি বেশ জটিল এই সিম এর ক্ষেত্রে।

আপনার ডিভাইসে eSIM.me দ্বারা কয়টি সিম ব্যবহার করতে চান, তার উপর আপনি কোন প্ল্যান এর ই-সিম কিনবেন  তা নির্ভর করে। সবচেয়ে কম দামি eSIM.me কেনা যাবে ২৫ডলারে, যা দুইটি ক্যারিয়ার সাপোর্ট  করবে। আবার নতুন ফোনে লাইসেন্স ট্রান্সফার করতে গুণতে হবে ১০ডলার। অন্যদিকে রয়েছে ৭০ডলার সমমূল্যের ১৫ প্রোফাইল সাপোর্টেড প্ল্যান। অর্থাৎ বিল্ট-ইন ই-সিম এর চেয়ে এই সমাধান ব্যবহারে বেশ বিশাল খরচ পোহাতে হবে এই বিকল্প সমাধানে।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

আইফোন ১৫ সিরিজে ব্যাটারি লাইফে বিশাল উন্নতির সম্ভাবনা

আপনার কাছে কেমন মনে হচ্ছে এই হার্ডওয়্যার ভিত্তিক ই-সিম কনভার্টার? আপনি কি এটা চালাতে ইচ্ছুক? কমেন্টে জানান!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,548 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *