উইন্ডোজ ছেড়ে লিনাক্স বেছে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ব্যবহৃত কম্পিউটারে উইন্ডোজের স্থলে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হচ্ছে। এতদিন সেখানে মাইক্রোসফট নির্মিত উইন্ডোজ এক্সপি চলে আসলেও আরও বেশি স্থিতিশীলতা ও নির্ভরযোগ্যতা পেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটির নীতি নির্ধারকরা।

আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেসন) এর অপসল্যান নেটওয়ার্ক অধিভুক্ত কয়েক ডজন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। এসব ডিভাইস থেকে নভোচারীরা প্রতিদিনকার কার্যক্রমের ব্যাপারে নির্দেশনা পেয়ে থাকেন।

নিরাপত্তা ইস্যুতে মাইক্রোসফটের জন্য রেফারেন্স হয়ে থাকবে এই সিদ্ধান্ত?

উক্ত স্থানান্তর বিষয়ে এক আইএসএস কর্মকর্তা জানান, মূল কার্যক্রমের জন্য আমরা উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সে চলে এসেছি, কেননা আমাদের একটি বিশ্বস্ত ও স্থিতিশীল অপারেটিং সিস্টেম দরকার, যা ইন-হাউস কন্ট্রোল সুবিধা দেবে। সুতরাং যখনই এতে কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন দরকার হবে তা নিজেরাই সম্পন্ন করা যাবে।

লার্জ হাড্রন কোলাইডার সহ অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা ক্ষেত্রেই লিনাক্স ওএসের কাস্টোমাইজড ভার্সন ব্যবহৃত হচ্ছে।

নতুন সিস্টেমে স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট নভোচারীদের জন্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল অলাভজনক সংস্থা লিনাক্স ফাউন্ডেশন।

আইএসএসের আরও কিছু প্রকল্পে ইতোপূর্বেই লিনাক্স ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্পেস স্টেশনে ২০১১ সালে প্রেরিত বিশ্বের প্রথম রোবোনটেও লিনাক্স ওএস দেয়া আছে। রোবোনট হচ্ছে মানুষের মত আকৃতি বিশিষ্ট রোবট যা নভোচারীদের বিভিন্ন কাজে (প্রক্সি দিয়ে) সহায়তা করে থাকে।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলাকালীন সময়ে ২০০৮ সালে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল আইএসএস কম্পিউটার সিস্টেম। W32.Gammima.AG নামের এই ওয়ার্ম একজন রাশিয়ান নভোচারীর ল্যাপটপ থেকে ছড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। অবশ্য, এন্টি-ভাইরাস নির্মাতা সিমানটেকের মতে ভাইরাসটি খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলনা।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,545 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *