মার্কিন বেসামরিক মহাকাশ সংস্থা নাসা (National Aeronautics and Space Administration) গত ২১ এপ্রিল তিনটি নতুন ধরণের স্পেস স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। এগুলোর মধ্যে দুটি ছিল এইচটিসি নেক্সাস ওয়ান চালিত এবং এবং অন্যটিতে ছিল স্যামসাং নেক্সাস এস।
অবশ্য, নাসা’র ফোনস্যাট প্রকল্পটি নতুন কিছু নয়। ২০০৯ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে এই প্রোজেক্টটি শুরু হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এটি বাস্তব রূপ পেয়েছে।
এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত উক্ত তিন স্মার্টফোনই তাদের স্টক ক্যামেরা ব্যবহার করে মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর ছবি তুলে নাসা’র নিকট প্রেরণ করে। তবে সংস্থাটির অন্যান্য ফটোগ্রাফের সাথে তুলনা করলে ফোনস্যাটের পাঠানো ছবিগুলো তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই অস্পষ্ট দেখা যায়।
তবে এজন্য স্মার্টফোনগুলোকেও পুরো দোষ দেয়া উচিত হবে না। কেননা এসব ছবি সরাসরি পৃথিবীতে আসেনি। এগুলো বেশ কয়েক খন্ডে ভাগ করে ইউএইচএফ বেতার তরংগের মাধ্যমে ট্রান্সমিট করা হয়। নাসা সেগুলো সংগ্রহ করে পুনরায় জোড়া লাগিয়ে ছবিতে রূপ দিয়েছে। এক্ষেত্রে ইমেজগুলোর মানে কিছুটা হেরফের হলেও হতে পারে।
তা যাই হোক, ফোনস্যাট নিয়ে নাসার আসল উদ্দেশ্য ঠিকই সাধিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ ভোক্তা ডিভাইস ব্যবহার করে স্পেস-গ্রেডের মেশিনপত্র বানাতে চেয়েছিল, এবং সেটা অন্তত সম্ভব বলে প্রমাণিত হল। প্রতিটি ফোনস্যাট নির্মাণে খরচ হয়েছে মাত্র ৩৫০০ মার্কিন ডলার।
২৭ এপ্রিল ২০১৩ তিনটি ফোনস্যাটই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে এবং এরপর এগুলো পুড়িয়ে ফেলার মধ্য দিয়ে মিশনটি সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে বলে জানায় নাসা।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।