যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোয় লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি কর্তৃক পেটাফ্লপ পেসে চলমান প্রথম সুপারকম্পিউটারটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে চালু হওয়া “রোডরানার” নামক এই কম্পিউটার সেকেন্ডে ১০০০ ট্রিলিয়ন গণনাকার্য সম্পন্ন করতে পারত। ভাইরসের মডেল থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের দূর-দূরান্ত এবং পারমাণবিক গবেষণাকার্যেও এটি ব্যবহৃত হত।
কম্পিউটার জায়ান্ট আইবিএম হচ্ছে রোডরানারেরর ডেভলপার, যার মধ্যে ১২০০০ মডিফাইড প্রসেসর রয়েছে- এগুলো মূলত সনি প্লেস্টেশন ৩ এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। মেশিনটিতে ৯২ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগ আছে। এর পুরো যন্ত্রকৌশল ২৮৮টি রেফ্রিজারেটর আকৃতির বাক্সের মধ্যে সাজানো ছিল।
রোডরানার এখনও পৃথিবীর দ্রুততম সুপারকম্পিউটারগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু একে অধিক শক্তিশালী আরেক সেট মেশিন দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর স্থলে এসেছে “সিলো” নামক মেশিন যা ২০১০ থেকে একটি অস্ত্র গবেষণাগারে ব্যবহৃত হচ্ছিল। রোডরানার তৈরিতে খরচ হয় ১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অপরদিকে অপেক্ষাকৃত দ্রুত অপারেটর সিলো বানাতে লেগেছে মাত্র ৫৪ মিলিয়ন ডলার।
লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির “হাই পারফর্মেন্স কম্পিউটিং ডিভিশন” থেকে ইস্যু করা এক স্টেটমেন্টে গ্রে গ্রাইডার বলেন, “কীভাবে একটি সুপারকম্পিউটার তৈরি এবং ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে প্রত্যেককে নতুনভাবে চিন্তা করিয়েছে রোডরানার”; এমনকি এর শেষ সময়েও আমরা রোডরানার থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করছি”।
৩১ মার্চ রবিবার রোডরানার বন্ধ করে দেয়া হয় এবং চলতি মাসেই মেশিনটির অপারেটিং সিস্টেমের ওপর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরে এটি অপসারিত হবে বলে জানিয়েছে ল্যাবরেটরি।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।