এন্ড্রয়েড ডেভলপারস ড্যাশবোর্ডের রেকর্ড অনুযায়ী এই প্রথমবারের মত সফটওয়্যারটির ৪.x ভার্সন ব্যবহারকারী সংখ্যা এর বহুল ব্যবহৃত জিঞ্জারব্রেডকে অতিক্রম করেছে। মার্চ ৪, ২০১৩ তারিখে ১৪ দিনের তথ্য নিয়ে উপস্থাপিত হিসেব অনুযায়ী এন্ড্রয়েড ৪ (আইসক্রিম স্যান্ডউইচ ও জেলি বিন) এর ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ৪৫.১ শতাংশ, যা ২.৩ জিঞ্জারব্রেড ডিভাইস ৪৪.২ শতাংশের চেয়ে বেশি।
উক্ত গণনায় এন্ড্রয়েড ৪.০ এর অংশ হচ্ছে ২৮.৬% এবং ৪.১ / ৪.২ এর শেয়ার ১৬.৫%; গুগল নির্মিত জনপ্রিয় এই মোবাইল ওএসের ৪x ভার্সন পুরাতন ২.৩ প্রজন্মকে ছাড়িয়ে যেতে একটু বেশিই সময় নিয়েছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি নেক্সাসের সাথে ২০১১ সালের শেষদিকে বাজারে এলেও আইসক্রিম স্যাডউইচ ৪.০ অপারেটিং সিস্টেম ১০ শতাংশ বাজার দখল করতে প্রায় ৯ মাস সময় নিয়েছিল।
এন্ড্রয়েড ৪.x ভার্সনগুলোতে ইউজার ইন্টারফেস এবং ফিচারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন আনার পাশাপাশি ডেভলপারেদের জন্যও এতে বেশ কিছু সুবিধা যেমন ক্যামেরা ফোকাস এবং মিটারিং এর জন্য নতুন এপিআই, ক্যালেন্ডার ও কন্টাক্টসে অধিক অ্যাক্সেস, ভিপিএন সার্ভিস প্রভৃতি যোগ করা হয়।
নতুন এন্ড্রয়েড ভার্সন ব্যবহারে লোকজনের ধীরগতির পেছনে অনেক কারণ বিদ্যমান। চাইলেই যে কেউ তাদের অপেক্ষাকৃত “ব্যাকডেটেড” ডিভাইস অপারেটিং সিস্টেমকে আপগ্রেড করতে পারেন না। অনেক সময় হার্ডওয়্যার রিকোয়্যারমেন্ট সফটওয়্যার আপডেট করার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া নতুন সফটওয়্যারের সাথে পুরাতন ভার্সনের কিছু কম্প্যাটিবিলিটি জনিত সমস্যা থেকেই যায়।
আরেকটি কথা মনে রাখা ভাল, এন্ড্রয়েড ডেভলপার ড্যাশবোর্ড শুধুমাত্র সেসব ডিভাইসের তথ্যই পায় যেগুলো থেকে একটি নির্দিষ্ট ১৪ দিন সময়কাল ব্যাপী গুগল প্লে অ্যাক্সেস করা হয়েছে। সুতরাং প্লে স্টোরের বাইরের এন্ড্রয়েড ডিভাইসের পরিসংখ্যান ড্যাশবোর্ড থেকে আশা না করাই ভাল।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।