বিকাশ নম্বর হারিয়ে গেলে করণীয় কি?

বিকাশ একাউন্ট আমরা যে মোবাইল নম্বরে খুলে থাকি, সেটি আমাদের বিকাশ নাম্বার হয়ে থাকে। এই বিকাশ নাম্বারটি বিকাশ একাউন্টের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিকাশ নম্বর এর সকল কার্যক্রম ঘটে থাকে উক্ত সিম নম্বর থেকে।

অর্থাৎ বিকাশ একাউন্টের সাথে যুক্ত সিম হারিয়ে যাওয়া বেশ সমস্যার একটি বিষয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ একাউন্টযুক্ত সিম বা মোবাইল হারালে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

বিকাশ সিম হারিয়ে গেলে করণীয় কি?

সিম হারিয়ে যাওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা বন্ধ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনার সিমের মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর এর সাথে যোগাযোগ করুন ও সিম পুনরায় রিপ্লেস করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সেই সাথে বিকাশ হেল্পলাইনেও কল করে বিষয়টি জানান। পাশাপাশি আপনার আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি হারিয়ে যাওয়া সিম রিপ্লেস করার কোনো অপশন না থাকে, তাহলে কি করণীয়? আপনার হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া সিম যদি কোনোভাবেই রিপ্লেস করা সম্ভব না হয়, তবে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বা কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন।

উল্লেখ্য যে সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত সপ্তাহের ৭দিন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার খোলা থাকে। আর বিকাশ কাস্টমার কেয়ার (আলাদা) শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার খোলা থাকে। কাস্টমার কেয়ার সেন্টার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। অন্যদিকে কাস্টমার কেয়ার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বা বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর ঠিকানা জানতে ভিজিট করতে পারেন https://www.bkash.com/service-points লিংকে। এছাড়া বিকাশ অ্যাপ মেন্যু হতে “বিকাশ ম্যাপ” অপশনে প্রবেশ করে নিকটস্থ এজেন্ট, মার্চেন্ট, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও কাস্টমার কেয়ার এর ঠিকানা জানতে পারবেন।

বিকাশ নম্বর হারিয়ে ফেললে সেক্ষেত্রে প্রথমে সিম তোলার চেষ্টা করতে পারেন। বিকাশ নম্বর তুলতে পারলে সেক্ষেত্রে উক্ত সিমে আগের মত বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করা যাবে। তবে সিম হারিয়ে ফেললে ও রিপ্লেস এর কোনো অপশন না থাকলে সেক্ষেত্রে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করুন।

সিম কার্ডে পিন কোড চালু রাখলে কেউ আপনার সিম হাতে পেলেও সিম চালু করতে পারবেনা। তাই সিম কার্ডে পিন কোড চালু রাখলে এসব পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিকাশ লগইন প্রচেষ্টা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

👉 সিমের পিন কোড চালু এবং পরিবর্তন করার নিয়ম জানুন

যে এনআইডি কার্ড দ্বারা বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে উক্ত এনআইডি কার্ড ও এনআইডি কার্ড হোল্ডারকে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে। এছাড়া সিম কার্ডের মালিককেও সাথে যেতে হবে। অর্থাৎ উক্ত বিকাশ একাউন্টের সম্পূর্ণ মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে। মালিকানা নিশ্চিত করতে একাউন্টের লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হতে পারে।

👉 বিকাশ রিওয়ার্ডে ক্যাশব্যাক ও বোনাস নেয়ার উপায়

তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন হয়না। কেননা বর্তমানে হারানো সিম তোলা বেশ সহজ। তাই বিকাশ নাম্বার হারিয়ে গেলে সিম রিপ্লেস করে খুব সহজে ঐ সিমে থাকা বিকাশ একাউন্ট পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

বিকাশ নম্বর হারিয়ে গেলে করণীয়

জেনে রাখা ভাল, সিম কার্ড রিপ্লেস করার পর ২৪ ঘন্টা বিকাশ একাউন্ট অকার্যকর থাকতে পারে। এটা আপনার একাউন্টের নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রয়োজনীয়। তাই এটা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবশেষে যখন আপনার বিকাশ একাউন্ট আবার চালু হয়ে যাবে তখন আপনার পিন কোড পরিবর্তন করে নিন।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,401 other subscribers

1 Comment

  1. আলম Reply

    আমার একাউন্ট সিম হারিয়ে গেছে আমি এখন অন্য সিমে একটা একাউন্ট খুলতে চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *