ফোর’ডি প্রযুক্তির বস্তু নিজেকে নিজেই গড়ে তুলবে!

লস এঞ্জেলেসের টিইডি (টেকনোলজি, এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড ডিজাইন) কনফারেন্সে স্থপতি এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী স্কাইলার টিবিতস নতুন এক প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছেন যা ব্যবহার করে নির্মিত জিনিসপত্র নিজেকে নিজেই পুনর্গঠন বা অ্যাসেম্বল করতে পারবে। বর্তমান যুগে যেখানে থ্রিডি নিয়ে সবাই হইচই করছে, সেখানে এমআইটি (ম্যাসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) এর এই গবেষকদল আরও একধাপ এগিয়ে ফোর’ডি নিয়ে কাজ করছেন।

সেলফ-অ্যাসেম্বলিং এ সক্ষম এসব বস্তু মাটির নিচে পানির পাইপ বা পৌঁছানো কঠিন এরকম অন্যান্য স্থানসমূহে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন এর আবিষ্কারক দল। এটি নিজে নিজে জোড়া লাগানো আসবাবপত্রের যুগ সূচনা করতে পারে।

এখানে চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময়কে বিবেচনা করা হয়েছে, কেননা “স্মার্ট ম্যাটেরিয়ালে” তৈরি ফোর’ডি অবজেক্টগুলো সময়ের সাথে আকার/ বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে এবং নতুন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।

এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড প্লাস্টিক এবং স্মার্ট ম্যাটেরিয়ালের সমন্বয়ে থ্রিডি প্রিন্টারে মাল্টি-লেয়ার সমৃদ্ধ বস্তু তৈরি করা হয়। এসব লেয়ার পানি শোষণে সক্ষম যা পরবর্তীতে একে রূপন্তরের জন্য শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

প্রকৃতপক্ষে থ্রিডি প্রিন্টিং এখন একটি পুরাতন বিষয়। কিন্তু সময়ের সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী আকার পরিবর্তন হওয়ার ধারণাটিই নতুন। এমআইটি’র ঐ গবেষকদল আশা করছেন ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল, গাড়ি প্রভৃতি তৈরিতেও ব্যবহৃত হবে। তারা এখন এমন কিছু ক্ষেত্র খুঁজছেন যেখানে ফোর’ডি অবজেক্টের পুরপুরি ক্ষমতা কাজে লাগানো যাবে।

চতুর্মাত্রিক বস্তু নিয়ে গবেষণার পেছনে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন গাছপালা, পশুপাখি প্রভৃতির বেড়ে ওঠা এবং অভিযোজন থেকে উৎসাহ নেয়া হয়েছে।

. . . . . . কল্পনা করুন একটি ফোর’ডি চেয়ারের কথা যা দোকান থেকে ভাঁজ করা অবস্থায় কিনে আনার পর নিজে বাসায় নিজে নিজেই অ্যাসেম্বল হল এবং সবার সুবিধা অনুযায়ী ব্যবহারের সময় আয়তন ঠিক করে নিল! এরকম দিন আসতে হয়ত খুব বেশি দেরী হবে না। চলুন একটু অপেক্ষা করি।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *