ফ্রিল্যান্সারের ডায়েরিঃ প্রত্যাশার মাত্রা এতো কমে যাচ্ছে কেনো?

একঃ

পত্রিকায় দেখলাম, ভারতে নাকি এক স্কুলছাত্র তাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইমেইল পাঠিয়ে বলেছে যে রাস্তায় জ্যামের কারণে তাদের সময় নষ্ট হচ্ছে আর পড়ালেখায়ও ব্যাঘাত ঘটছে।

এদিকে বাংলাদেশে সম্প্রতি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পর ঢাকার রাস্তায় আমি এখন ট্র্যাফিক জ্যামের চেয়ে যে জিনিসটা বেশি ভয় পাই সেটি হচ্ছে “বাস পাবো তো?”, অর্থাৎ বাসের কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি হয়েছে এখানে।

অনেকেই হয়ত লক্ষ্য করেছেন, ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করার পর রাজধানীতে লোকাল বাসের সংখ্যা ভয়ানকভাবে কমে গিয়েছে। এখন শুধু ‘গেটলক’ আর ‘গেটলক”।

আগে ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ে হতাশা ছিল। কিন্তু এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, বাসের অভাবে রাস্তায় অপেক্ষা করার চেয়ে মনে হয় “এর চেয়ে তো জ্যামই ভাল ছিল!”

তাই বলে এখনও যে জ্যাম নেই তা কিন্তু না! ভাড়া বৃদ্ধির কথা নাইবা বললাম। তার পরেও অন্তত গাড়িতে উঠতে পারলে একসময় বাসায় পৌঁছানোর আশা করা যেত। কিন্তু যদি গাড়িই হয়ে যায় সোনার হরিণ, তাহলে তো বিপদ।

দুইঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে “খ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় নাকি মাত্র ১৪.৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আপাতত “শিক্ষার মান” এর মত গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে ব্রেইনস্টর্মিংয়ে যাচ্ছিনা, শুধু এটা ভাবতেই ভাল লাগছে যে “অন্তত প্রশ্ন তো ফাঁস হয়নি!”

এতে পাস করেছে মাত্র ৪ হাজার ৩৫১ জন। “খ” ইউনিটের অধীনে মোট আসন ২ হাজার ২৯৬টি (পত্রিকায় প্রাপ্ত তথ্য মতে)।

কষ্ট লাগে এজন্য যে, আমাদের প্রত্যাশা এই পর্যায়ে চলে গেছে যে আমরা বরং প্রশ্ন ফাঁসের খবর/অভিযোগ বের না হলেই খুশি হই। অথচ আমাদের কিন্তু এখন এটা ভাবার কথা ছিল যে “SSC ও HSC পরীক্ষায় এত ভাল জিপিএ পেয়েও ভর্তি পরীক্ষায় এই অবস্থা কেন?”

প্রত্যাশার মাত্রা দিন দিন এতো কমে যাচ্ছে কেনো? :(

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,569 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *