ব্যবহারকারীদের আবেগ প্রভাবিত করার নিরীক্ষায় চরম সমালোচিত ফেসবুক

আমাদের ব্লগের নিয়মিত ভিজিটর হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই জানেন, ফেসবুক নিউজফিডে বিভিন্ন প্রকার ইতিবাচক ও নেতিবাচক পোস্ট ব্যবহারকারীর নিজস্ব ফেসবুক পোস্টিংয়ের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে তা নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছিল। ২০১২ সালে পরিচালিত ঐ নিরীক্ষায় এক সপ্তাহব্যাপী প্রায় সাত লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর নিউজফিড অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছিল ফেসবুক। তখন একদল সদস্যের ফেসবুক হোমপেজে শুধুমাত্র ইতিবাচক পোস্ট এবং আরেকদলের হোমপেজে শুধুমাত্র ইতিবাচক পোস্ট দেখানো হয়েছে।

গবেষণার ফলাফল বলছে, যারা বেশি ইতিবাচক পোস্ট দেখেছে, তারা নিজেরাও বেশিরভাগ ইতিবাচক পোস্ট করেছে এবং যাদের নিউজফিডে বেশি নেতিবাচক পোস্ট দেয়া হয়েছে তারা নিজেরাও ফেসবুক ওয়ালে অধিক নেতিবাচক পোস্ট লিখেছে।

কিন্তু, ব্যবহারকারীদের অগোচরে তাদের আবেগ নিয়ে এভাবে ‘খেলা করা’র কারণে চরমভাবে সমালোচনার মুখে রয়েছে ফেসবুক। সমালোচকরা মনে করেন, নিউজফিড পরিবর্তনের আগে সংশ্লিষ্ট ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনুমতি নেয়া উচিৎ ছিল। আর কাউকে না জানিয়ে তাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করে মূলত অনৈতিকতারই পরিচয় দিয়েছে ফেসবুক।

একজন বলেছেন, ফেসবুক গোপনে ইউজারদের বিষন্ন করার নিরীক্ষা চালাচ্ছে। ফেসবুকের সমস্যাটা কী?

তবে ইউজারদের না জানিয়ে তাদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করে কোনো নীতিমালা ভংগ হয়েছে বলে মনে করছেনা ফেসবুক। তারা বলছে, ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করার সময় সবাই এটা মেনেই নেয় যে তাদের নিয়ে রিসার্স করতে পারবে কোম্পানিটি। অবশ্য এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হচ্ছেনা বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ও বিশ্লেষক। এছাড়া রিসার্স পেপারটির সম্পাদক নিজেও পরিস্থিতি দেখে বলেছেন যে তিনি ও তার সহকর্মীরা উদ্ভূত অবস্থার জন্য দুঃখিত।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,577 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *