এন্ড্রয়েড ফোনের চার্জ দীর্ঘস্থায়ি করার জন্য কিছু টিপস

আজকাল এন্ড্রয়েড ফোনগুলো বেশ জনপ্রিয়। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সব দিক থেকে হ্যান্ডসেটগুলো দিন দিন আরও উন্নত হয়ে উঠছে। কিন্তু এর ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা যেন কোন ভাবেই এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের আজকের আয়োজন এমন কিছু কৌশল নিয়ে যা আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারিকে কিছুটা হলেও দীর্ঘস্থায়ী করবে। চলুন শুরু করি।

ডার্ক কালার ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করুন

আপনার ফোন যদি এমোলেড স্ক্রিন বিশিষ্ট হয় তবে এ পদ্ধতিটি কাজে দিবে কেননা এমোলেড স্ক্রিন শুধু রঙিন পিক্সেলগুলোকে আলোকিত করে। সুতরাং আপনি যদি ফোনে ডার্ক মোড ব্যবহার করেন তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি পাবেন। অ্যাপ গুলোকেও সম্ভব হলে ডার্ক মোড করে রাখুন। ইউজার ইন্টারফেস/স্কিন/থিম সেটিংস এর মাধ্যমে এটি করতে পারবেন।

অটো ব্রাইটনেস বন্ধ রাখুন

স্ক্রিনের অটো ব্রাইটনেস অপশন চালু রাখলে একটি সেন্সরের মাধ্যমে ফোন তার চারপাশের আলো সম্পর্কে ধারণা নেয়। সেই অনুযায়ী স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমায় বা বৃদ্ধি করে। পরিবেশে বেশি আলো থাকলে স্ক্রিনের আলো বাড়িয়ে দেয়া হয় যাতে আপনি সহজেই স্ক্রিনের বিষয়বস্তু দেখতে পারেন।

আবার আপনার চারপাশে আলো কম হলে ফোনের স্ক্রিনের আলোও কমে যায়। এই কাজগুলো সেন্সরের রিডিংয়ের উপর নির্ভর করে। এভাবে সেন্সর-নির্ভর কাজেও ব্যাটারির চার্জ ব্যবহৃত হয়। তাই অটো ব্রাইটনেস থেকে দূরে থাকুন। যখন দরকার শুধুমাত্র তখন ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করুন।

ভাইব্রেশন বন্ধ রাখুন

ব্যাটারির চার্জ কম খরচ করতে চাইলে ফোনের এলার্টের ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন। তবে চলতি পথে ভাইব্রেশন বন্ধ করার আগে দুবার ভাবুন, কেননা ভাইব্রেশন বন্ধ করলে আপনি হয়ত কল/মেসেজের নোটিফিকেশন টের পাবেন না।

OPPO A18

অরিজিনাল ব্যাটারি ব্যবহার করুন

ফোনের ব্যাটারি যদি কখনো রিপ্লেস করতে হয় তাহলে অরিজিনাল ব্যাটারি নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে চার্জ ও বেশিক্ষণ টিকবে আবার নিরাপত্তাও ভাল পাবেন। 👉 ব্লুটুথ স্পিকার ফোনের সাথে সংযুক্ত না হলে করণীয়

ডিসপ্লে টাইমআউট কমানো

মোবাইলের ডিসপ্লে লাইটের টাইমআউট কমিয়ে রাখুন। লাইটিংয়ে প্রচুর চার্জ খরচ হয়। একটি রিপোর্টে দেখা যায় একজন ব্যবহারকারী দৈনিক ১৫০ বার তার ফোন ডিসপ্লে অন করেন।

ইন্টারনেট ও অন্যান্য স্মার্ট ফিচার বন্ধ রাখা

প্রয়োজন না হলে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখুন। স্মার্ট ফিচার যেমন এয়ার জেশ্চার, স্মার্ট স্ক্রলিং বন্ধ করে রাখুন। শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই সেগুলো ব্যবহার করুন। জিপিএস, এনএফসি, ওয়াই ফাই এবং ব্লুটুথ শুধু দরকার হলেই অন করুন। যেসব উইজেড দরকার নেই বিশেষ করে যেগুলো নেটে কানেক্টেড হয়ে থাকে সেগুলো কম ব্যবহার করুন। ভয়েস সার্চ অপশন খুব ভাল, কিন্তু এটিও অনেক চার্জ নষ্ট করে। তাই চার্জ বাঁচাতে চাইলে ভয়েস কমান্ড কম ব্যবহার করুন। ফোনে অ্যানিমেশন বন্ধ রাখুন।

অ্যাপ আপডেট ও পরিচালনা

সবসময় আপডেটেড অ্যাপ ব্যবহার করুন কেননা, সাধারণত নতুন অ্যাপ অপটিমাইজ করা থাকে যাতে ব্যাটারি আরও কম খরচ হয়। যদি সারাদিনে একবার ইমেইল চেক করেন তাহলে সব সময়ের জন্য ইমেইল অ্যাপ ওপেন করে রাখার কোনো দরকার নেই। গুগল প্লে স্টোর সেটিং পরিবর্তন করে ম্যানুয়াল আপডেট করে রাখুন।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

ফোনে ব্যাটারি সেভিং মুড ব্যবহার করুন

যদি উপরের সবকিছু আলাদাভাবে করতে আপনার ইচ্ছে না হয়, তাহলে সহজ সমাধান হলো ব্যাটারি সেভিং অপশন চালু করা। সকল স্মার্টফোনেই ব্যাটারি বা পাওয়ার সেভিং মোড আছে। সেটা ব্যবহার করলেও আপনার ফোনের চার্জ স্বাভাবিকের চেয়ে কম খরচ হবে- কেননা এই অপশনটি ফোনের পারফরমেন্স কমিয়ে দিয়ে ব্যাটারি চার্জ দীর্ঘস্থায়ি করে।

এতোগুলো টিপস পড়ার পর আপনার হয়ত মনে হতে পারে এতো কিছু বন্ধ করে রাখলে স্মার্ট ফোন চালানোর দরকার কী? হ্যাঁ এই প্রশ্ন শুধু আপনার নয় বরং সব বড় বড় ফোন নির্মাতারাও এর সমাধান খুঁজছে যাতে করে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায় আর এর জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। হয়ত ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে যে আর ব্যাটারির এ ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,569 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *